ঢাকা ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিচ্ছেন নাহিদ ফরিদগঞ্জে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন র‌্যাব-১৩'র অভিযানে ৬ রাউন্ড তাজা গুলিসহ বিদেশী পিস্তল উদ্ধার বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ ইইউ প্রতিনিধি দলের রাজধানীতে আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ১১ সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশনে সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে লি‌বিয়া থে‌কে আজ দেশে ফিরেছেন আরও ১৭৬ বাংলা‌দে‌শি রংপুরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত কমপক্ষে ৫০ পাঠ্যবই ছাপার আগেই ৭শ টন কাগজ বাতিল গাজায় হাসপাতালের এলাকা লক্ষ্য করে হামলা, নিহত ১৯

আমিরাতের কাছে হেরে লিটন দায় দিলেন শিশিরকে

#

স্পোর্টস ডেস্ক

২০ মে, ২০২৫,  11:10 AM

news image

১৭৯ রানের বেশি তাড়া করে আগে কখনোই জিততে পারেনি সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেই দল এবার ২০৬ রান তাড়া করে জিতে গেল বাংলাদেশের মতো টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে। আমিরাতের ক্রিকেট ইতিহাসের স্মরণীয় দিনটিই বাংলাদেশের জন্য চরম বিব্রতকর। বড় পুঁজি নিয়েও বাজে বোলিং-ফিল্ডিংয়ে পরাজয়ের পর অধিনায়ক লিটন কুমার দাস দায় দিলেন শিশিরকে। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৯১ রান করে ২৭ রানে জয়ী বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে সোমবার (১৯ মে) হেরে যায় ২০৫ রান করেও। টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম দুইশর বেশি রান করেও পরাজিত দলে রইল তারা। বিশাল লক্ষ্যে শুরু থেকেই চাহিদা মিটিয়ে রান করেছেন স্বাগতিক অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম। এলোমেলো বোলিংয়ে তার কাজ সহজ করে দিয়েছেন তানজিম হাসান, নাহিদ রানারা। প্রথম সাত ওভারের প্রতিটিতেই বাউন্ডারি মারেন আরব আমিরাতের ওপেনাররা। প্রথম ১০ ওভারে তারা করে ফেলে ১০৭ রান। পানি বিরতির পর টানা দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ। তবু ওয়াসিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে চাপে পড়েনি আরব আমিরাত। এক পর্যায়ে সমীকরণ দাঁড়ায় ৩৬ বলে ৬০ রান। সেখান থেকে প্রতি ওভারে একটি করে উইকেট নেয় বাংলাদেশ। শেষ দিকে মাত্র ৩ উইকেট বাকি থাকতে ১১ বলে ২৯ রান প্রয়োজন ছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু তালগোল পাকিয়ে ১৯ তম ওভারের শেষ ৫ বলে ১৭ রান দিয়ে ফেলেন শরিফুল ইসলাম। পরে শেষ ওভারে ওয়াইড-নো মিলিয়ে ৫ বলেই বাকি ১২ রান দেন তানজিম হাসান। এমন পরাজয়ের পর পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে বাজে ফিল্ডিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি শিশিরের প্রভাবের কথাও তুলে ধরেন লিটন। তিনি বলেন, “যে কোনো পরাজয়ই বেদনাদায়ক। তবু আমরা এই উইকেটে ভালো ব্যাটিং করেছি। উইকেট খুব ভালো ছিল। আমার মনে হয়েছে, ব্যাটিংয়ের সময় তারা শিশিরের সুবিধাটা পেয়েছে। তার পরও আমরা চেষ্টা করেছি। তবে ফিল্ডিং ও মাঝের ওভারের বোলিংয়ের আমরা কিছু ভুল করেছি।” প্রথম ম্যাচে জেতার পরই লিটন বলেছিলেন, শারজাহর মাঠে কোন ধরনের বোলিং কার্যকর হবে, তা শিখতে হবে তার দলের। পরের ম্যাচেই যেন এর গুরুত্ব আরও ভালোভাবে টের পেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আরও একবার ছোট সীমানার মাঠে হিসেবী বোলিং পারফরম্যান্সের তাগিদ দিলেন তিনি। তিনি জানান, “বুঝতে হবে যে, এই ধরনের ছোট মাঠে খেলার সময় শিশিরের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তাই বোলিংয়ের সময় হিসেবি হতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটসম্যানের জন্য আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে।”

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম