ঢাকা ২৩ অক্টোবর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
আমিরাতে আরও ৩০০ বাড়ির সন্ধান সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে গণজমায়েত শুরু নিরাপদ সড়ক উপহার দিতে ব্যর্থ হবে না আগামী প্রজন্ম: ফাওজুল কবির জানা গেল বিশ্ব ইজতেমার সম্ভাব্য সময় নির্যাতন করতেই ২৫০ এসআই নিয়োগ দেয়া হয়েছিল: রিজভী কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপোতে টাকা ধার করার সুযোগ আরও সীমিত হচ্ছে ২৫২ এসআইকে অব্যাহতির বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’: উপকূলে আঘাত হানতে পারে প্রবল বেগে দ্রুত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি হাসনাত আব্দুল্লাহর রাজধানীর ২৯ পয়েন্টে বসছে দেশীয় প্রযুক্তির ট্রাফিক ‘সিগন্যাল বাতি’

লুটপাট ও দুর্নীতিতে দেশের আর্থিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে : রিজভী

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ জুলাই, ২০২৪,  3:38 PM

news image

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘লুটপাট আর দুর্নীতির কারণে দেশের আর্থিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, রাজকোষ শূন্য হয়ে গেছে। দেশটা তিন মাস যে চলবে, সেই প্রয়োজনীয় অর্থ এখন ব্যাংকে নেই। যারা ঋণখেলাপি হয়েছেন, এক লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকার, তাদেরকে নিয়ম করে সুদ মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে। যারা লুটপাট করেছে, টাকা পাচার করেছে, তারা সবাই ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ লোক।’ আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে তত একের পর এক সরকারের কুকীর্তি বেরিয়ে আসছে। শেখ হাসিনা যাদেরকে দিয়ে বিরোধী দমন করেছেন, তারা এদেশের জনগণের সম্পদ-অর্থ লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে এবং দেশের মধ্যেও অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে। নবাবদেরও এত সম্পদ ছিল না।’ অবিলম্বে ছাত্রদলনেতা আতিকুর রহমান রাসেলকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘গত ১ জুলাই সোমবার তাকে গোয়েন্দা পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। আট দিন অতিবাহিত হলেও এখনও তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি বা আদালতে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পরিবার, তার বাবা, তার মা, তার আত্মীয়স্বজন ও দলের নেতাকর্মীর প্রত্যেকে গভীর উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। বাবা-মায়ের যে আকুতি তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়।’ রাসেলকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে তুলে নিয়ে গেছে তা অনেকে দেখেছেন এবং সে গোয়েন্দা হেফাজতে রয়েছে বলেও দাবি করেন রিজভী। এই ঘটনা ‘অত্যন্ত মর্মান্তিক ও মর্মস্পর্শী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের তরুণদের নিরুদ্দেশ করে দেওয়া হচ্ছে। কারণ তারা মানুষের পক্ষে কথা বলে, গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে, গণতন্ত্রের পক্ষে স্লোগান দেয়। তাদের স্লোগান স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিষ্ঠুর দমন-নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আতিকুর রহমান রাসেলদের মতো তরুণদের নিরুদ্দেশ করে দেওয়া হচ্ছে, নিখোঁজ করে দিচ্ছে।’ বিএনপিনেতা রিজভী বলেন, ‘দেশ এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় অতিক্রম করছে। মানুষের অধিকারগুলো দখলদার সরকার একের পর এক হরণ করেছে। মানুষ অধিকার বঞ্চিত, গণতন্ত্রে মানুষের যে অধিকারগুলো স্বীকৃত, সে অধিকারগুলোকে মানুষ যাতে প্রয়োগ করতে না পারে, তার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে শেখ হাসিনা ইচ্ছে পূরণ করতে পারেন। এই বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে কেউ যেন কথা না বলতে পারে। তার বিরুদ্ধে কেউ যেন মিছিল না করতে পারে। এদেশে কেউ যেন সমাবেশ না করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধান কাটাছেঁড়া করার পরেও গণতন্ত্রের যে অধিকারগুলো আছে, সেই অধিকারগুলো সরকারি যন্ত্র দিয়ে নানাভাবে দমন করছে। এই দমন পৈশাচিক, এই দমন নিষ্ঠুর, এই দমন রক্তাক্ত।’ এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরসহ আরও অনেকে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম