দীর্ঘায়ুর পথে সহায়ক হতে পারে কফি, বলছে গবেষণা
লাইফস্টাইল ডেস্ক
০২ জুলাই, ২০২৫, 11:34 AM

লাইফস্টাইল ডেস্ক
০২ জুলাই, ২০২৫, 11:34 AM
দীর্ঘায়ুর পথে সহায়ক হতে পারে কফি, বলছে গবেষণা
স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য রয়েছে দারুণ সুখবর নিয়মিত কফি পান করলে বাড়তে পারে আয়ু। তবে শর্ত একটাই, কফিতে যেন না থাকে অতিরিক্ত চিনি বা চর্বিযুক্ত ক্রীম। যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনটাই উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কালো কফি পান করেন বা সামান্য পরিমাণে চিনি ব্যবহার করেন, তাদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। বিপরীতে, যারা কফির স্বাদ বাড়াতে বেশি চিনি, ফুল-ক্রিম দুধ বা ক্রীমজাত উপাদান ব্যবহার করেন, তাদের ক্ষেত্রে এই উপকারিতা আর দেখা যায় না। গবেষণায় ২০ বছর বা তার বেশি বয়সী ৪৬,৩৩২ জন মার্কিন নাগরিকের স্বাস্থ্যতথ্য বিশ্লেষণ করা হয়, যাদের ৯ থেকে ১১ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই সময়ে ৭,০৭৪ জন মারা যান। তথ্য বিশ্লেষণে উঠে আসে, যারা প্রতিদিন কফি পান করেন, তাদের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কফিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক উপাদান শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তবে অবশ্যই কফিকে স্বাস্থ্যকর রাখতে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত কিছু না মেশানোই শ্রেয়। গবেষক এবং এপিডেমিওলজিস্ট বিংজি ঝৌ বলেন, আগে খুব কম গবেষণাই দেখেছে যে কফিতে কী যোগ করা হচ্ছে এবং তা মৃত্যুঝুঁকির সঙ্গে কতটা সম্পর্কিত। আমরা প্রথমবারের মতো চিনি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ হিসাব করে এই বিশ্লেষণ করেছি। গবেষণায় বলা হয়েছে, দিনে দুই থেকে তিন কাপ কালো কফি সবচেয়ে বেশি উপকার দেয়। তবে এতে যদি অনেক চিনি, ফুল-ক্রিম দুধ বা ক্রীম মেশানো হয়, তাহলে সেই ইতিবাচক প্রভাব আর থাকে না। কফির উপকারিতার মূল কারণ সম্ভবত এর বায়োঅ্যাকটিভ যৌগগুলো এবং ক্যাফেইন, কারণ ডিক্যাফ কফি পানকারীদের মধ্যে মৃত্যুহার কমার কোনো প্রবণতা দেখা যায়নি। টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক গবেষক ফাং ফাং ঝাং বলেন, কফির উপকারিতা সম্ভবত এর প্রাকৃতিক যৌগগুলোর কারণে, তবে চিনি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট যোগ করলে তা এই উপকার কমিয়ে দিতে পারে। বিশ্বব্যাপী অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় কফি, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন অন্তত এক কাপ কফি পান করেন। তাই কফি আসলে শরীরের জন্য কতটা ভালো বা খারাপ এই প্রশ্নের উত্তর জানা স্বাস্থ্যসচেতনদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন গবেষকরা।