ব্যাংক এশিয়ার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপকের মৃত্যু: গৃহহীন স্ত্রী-সন্তানদের পাশে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ না থাকায় রংপুর জুড়ে সমালোচনার ঝড়
০৫ জুলাই, ২০২৫, 9:31 PM

NL24 News
০৫ জুলাই, ২০২৫, 9:31 PM

ব্যাংক এশিয়ার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপকের মৃত্যু: গৃহহীন স্ত্রী-সন্তানদের পাশে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ না থাকায় রংপুর জুড়ে সমালোচনার ঝড়
বিশেষ প্রতিনিধি: দেশের অন্যতম বেসরকারি ব্যাংক এশিয়ার রংপুর জেলার তারাগঞ্জ শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ সোলায়মান রিপন ( ৪০ ) অকাল মৃত্যুতে তাঁর পরিবার চরম মানবিক সংকটে পড়েছে বলে জানা গেছে। ব্যাংকটিতে দীর্ঘদিনের সৎ ও নিষ্ঠাবান এই কর্মকর্তার অকাল মৃত্যু যেন তাঁর পরিবারের জন্য আরও বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এই ব্যাংক কর্মকর্তা দীর্ঘদিন গলব্লাডার, অগ্নাশয় এবং মস্তিষ্কের জটিল রোগে ভুগে বিগত ২৫ জুন ২০২৫ ইং তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর চিকিৎসায় ব্যয় করা হয়েছে পরিবারের সব সঞ্চয়, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের সহায়তাও শেষ হয়ে গেছে। মৃত্যুর পর থেকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে স্ত্রী মোছাঃ আরফিনা মোস্তারী ( ২৮ ) এবং তাঁদের নাবালক দুই সন্তান মোঃ রেহান সোলায়মান( ৬)ও মোঃ রোহান সোলায়মান (১০ মাস) অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান,
কয়েক মাসের বাসা ভাড়া বাকি থাকায় বাড়িওয়ালা তাদের বাসা ছাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এমনকি তাদের বাসার কিছু আসবাবপত্র আটকে রেখে, ভাড়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত মালামাল আটকে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। একজন নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা তাঁর জীবন ব্যাংক এশিয়ার জন্য উৎসর্গ করলেও তাঁর মৃত্যুর পর সেই ব্যাংকের পক্ষ থেকে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। স্থানীয়রা আরো জানান, “এটা শুধু মানবিকতার অভাব নয়, নৈতিকতারও চরম উদাহরণ।
দেশের টালমাটাল ব্যাংকিং সেক্টরে ব্যাংক এশিয়া একটি ব্যাতিক্রমি নাম, যার সাফল্যের পেছনে সোলায়মান রিপন এর মতো বেশকিছু সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তারা তাদের জীবন ব্যয় করেছেন, অথচ এমন একজন কর্মকর্তার মৃত্যুর পর তার পরিবারটি আজ অসহায় অবস্থায় রাস্তার ধারে, এটা কীভাবে মেনে নেওয়া যায়?” সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ব্যাংক এশিয়া কর্তৃপক্ষের উচিত অনতিবিলম্বে এই পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং মৃত কর্মকর্তার স্ত্রী বা পরিবারের কাউকে ব্যাংকে চাকরির ব্যবস্থা করা, যাতে তাঁরা জীবনের এই সংকটকাল কাটিয়ে উঠতে পারেন। নাহলে ভবিষ্যতে ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তারাও সততা ছেড়ে দেবে। এ বিষয়ে ব্যাংক এশিয়ার শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মানবিকতার এই কঠিন পরীক্ষায় ব্যাংক এশিয়া কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা দেখার জন্য এখন সবাই অপেক্ষায়।