গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৩০, চার ভুলে কাটা যাবে ১ নম্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ মে, ২০২২, 2:33 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ মে, ২০২২, 2:33 PM
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৩০, চার ভুলে কাটা যাবে ১ নম্বর
গুচ্ছভুক্ত ২২ টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুলাই ‘ক’ ইউনিট, ১৩ অগাস্ট ‘খ’ ইউনিট ও এবং ২০ আগস্ট (সম্ভাব্য তারিখ) ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুচ্ছ কমিটি। সব কিছু বিবেচনা করে এবারের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বড় সুবিধা হলো পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আলাদাভাবে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। এবার ভর্তি পরীক্ষাসহ সমস্ত কার্যক্রম কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হবে। শিক্ষার্থীদেরকে শুধু একবারই টাকা দিতে হবে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহ আজম জানান গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফি মূলত বৃদ্ধি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে।
যাতায়াতসহ অন্যান্য খরচ বৃদ্ধি হওয়া এবং ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র জেলা পর্যায়ে বৃদ্ধি করা হয়েছে যার ফলে ফি বেড়েছে। আর এ সিদ্ধান্ত সভায় সবার মতামত নিয়েই নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য এবার ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় চারটি ভুল উত্তরের জন্য এক নম্বর কাটা হবে। পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০। কোনো শিক্ষার্থী ১০০ নম্বরের মধ্যে ৩০ নম্বর পেলেই সে পাস করবে। ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর নিয়ে তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থীকে সব মিলিয়ে ১০০ নম্বরের ভেতর ৩০ নম্বর পেলেই তার নাম ভর্তি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে প্রকাশ করা হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবজেক্ট চয়েজ দিবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব স্ব শর্ত অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে। যদি তার সব শর্ত পূরণ হয় যেমন কেউ যদি বাংলা পড়তে চায় তাহলে তাকে বাংলায় পড়ার জন্য সেই অনুপাতে নম্বর পেতে হবে। এভাবেই প্রতিটি ফ্যাকাল্টিতে শিক্ষার্থীরা শর্তপূরণ সাপেক্ষে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন। গুচ্ছ ভর্তির আবেদন কবে শুরু হবে জানতে অধ্যাপক ড. শাহ আজম জানান, গুচ্ছ ভর্তি সংক্রান্ত পরবর্তী মিটিং আগামী ৫ জুন হওয়ার কথা মিটিংয়ের পরই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদনসহ অন্যান্য বিষয়ের তথ্য নিশ্চিত করা হবে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ২০২০ বা ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, (ক ইউনিট) বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মোট জিপিএ ৭ (চতুর্থ বিষয় ছাড়া), (খ ইউনিট) মানবিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মোট জিপিএ ৬ (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) এবং (গ ইউনিট) ব্যবসায় শিক্ষায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মোট জিপিএ ৬.৫ (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) নির্ধারণ করা হয়েছে।ক ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য পদার্থ বিজ্ঞান ২০ নম্বরের, রসায়নে ২০ নম্বর, বাংলা ১০, ইংরেজি ১০, গণিত, জীববিজ্ঞান, আইসিটি থেকে যেকোনো দুটির উপর ২০ নম্বর করে ৪০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।