কাল বলেশ্বরে চালু হচ্ছে ফেরী; দুই উপজেলার মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা
০৯ নভেম্বর, ২০২১, 12:35 PM
NL24 News
০৯ নভেম্বর, ২০২১, 12:35 PM
কাল বলেশ্বরে চালু হচ্ছে ফেরী; দুই উপজেলার মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আগামীকাল বুধবার চালু হচ্ছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বলেশ^র নদের মাছুয়া-রায়েন্দা ফেরী। ফেরী চালুকে কেন্দ্র করে দুই উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের মাঝে বয়ে যাচ্ছে আনন্দের বন্যা। মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া এবং শরণখোলার রায়েন্দায় ফেরী চালুর ফলে সাগরকন্যা কুয়াকাটাসহ মঠবাড়িয়া,পাথরঘাটা, বামনা, বরগুনা, আমতলী, তালতলীসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের খুলনার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। এছাড়া মৎস্যবন্দর পাথরঘাটার সাথে খুলনা, বাগেরহাট ও মংলার ব্যবসায়িক সুযোগ সুবিধাও অনেক বৃদ্ধি পাবে। বড়মাছুয়া ও রায়েন্দার দু’পাড়ে ফেরীর জন্য পল্টুন ও জেটি নির্মাণ শেষে চলতি মাসের শুরুর দিকে ফেরী ঘাটে এসে পৌঁছে। বুধবার সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে এ ফেরীর উদ্বোধন করা হবে। মাছুয়া ঘাট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফেরীর উদ্বোধন করবেন সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও পিরোজপুর-০৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী। জানা গেছে, পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডাঃ মোঃ রুস্তম আলী ফরাজি এবং বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জ) আসনের প্রায়ত সাংসদ ডাঃ মোজাম্মেল হক, বর্তমান সাংসদ এডভোকেট আমিরুল আলম মিলন ও সাবেক রেল সচিব মোফাজ্জেল হক মন্টুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের গুরুত্বপূর্ণ এ ফেরী সার্ভিস অনুমোদন পায়। পরে বাগেরহাটের সড়ক ও জনপদ বিভাগ শরণখোলার পাঁচরাস্তা থেকে রায়েন্দা ঘাট পর্যন্ত ৩ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে আধা কিলোমিটার মূল সড়ক পাঁকা এবং ১৮ ফুট চওড়া ও দুই পাশে ৩ ফুট করে ফুটপথ নির্মাণ করেন। অপর দিকে মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া ঘাট সংলগ্ন অংশে ৮৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৮ ফুট চওড়া ৫‘শ মিটার সড়ক ও পল্টুনের নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। বড়মাছুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির হোসেন হাওলাদার জানান, ফেরী চালুর ফলে দুই উপজেলার সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব এবং খেয়া ঘাটের ইজাদারদের হয়রানি থেকে জনগণ মুক্তি পাবে। পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ মোঃ রুস্তম আলী ফরাজি জানান, এ সেতুবন্ধনের জন্য দুই উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ যুগ-যুগ ধরে অপেক্ষায় ছিলো। ফেরী চালুর মধ্য দিয়ে তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটল।