৩২ বছর বয়সেই অবসরে বার্সার ট্রেবলজয়ী ফুটবলার
স্পোর্টস ডেস্ক
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, 11:07 AM
স্পোর্টস ডেস্ক
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, 11:07 AM
৩২ বছর বয়সেই অবসরে বার্সার ট্রেবলজয়ী ফুটবলার
এক সময় বার্সেলোনার লা মাসিয়া একাডেমি থেকে উঠে আসা সবচেয়ে সম্ভাবনাময় মিডফিল্ডারদের একজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন রাফিনহা আলকান্তারা। নিখুঁত বল কন্ট্রোল, দৃষ্টিনন্দন পাস আর টেকনিক্যাল দক্ষতায় খুব দ্রুতই নজর কাড়েন তিনি। তবে বারবারের ইনজুরি তার উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত ইনজুরির সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের ইতি টেনে মাত্র ৩২ বছর বয়সেই পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানালেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।
গত ২২ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেন রাফিনহা। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে কাতারের ক্লাব আল-আরাবি ছাড়ার পর এক বছরেরও বেশি সময় তিনি পেশাদার ফুটবলের বাইরে ছিলেন। এর পরই এলো অবসরের সিদ্ধান্ত।
লা মাসিয়া থেকে উঠে এসে রাফিনহা দ্রুতই বার্সেলোনার প্রথম দলে জায়গা করে নেন এবং এক সময় ক্লাবটির সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ ও দক্ষ মিডফিল্ডারদের একজন হিসেবে জায়গা করে নেন। তার ক্যারিয়ারের সেরা সময় আসে ২০১৪-১৫ মৌসুমে। লুইস এনরিকের অধীনে সেই মৌসুমের বার্সেলোনার হয়ে লা লিগা, কোপা দেল রে ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে ঐতিহাসিক ট্রেবল জেতেন তিনি। নিয়মিত শুরুর একাদশে না থাকলেও সেই শক্তিশালী স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন রাফিনহা।
তবে ক্যারিয়ারের বড় ধাক্কা আসে গুরুতর চোটের কারণে। অ্যান্টিরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ও মেনিস্কাসের ইনজুরিতে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫০০ দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাকে। এই দীর্ঘ অনুপস্থিতি তার ফিটনেস, গতি এবং বার্সেলোনার দলে অবস্থান সবকিছুর ওপরই প্রভাব ফেলে।
এরপর সেল্টা ভিগো ও ইন্টার মিলানসহ একাধিক ক্লাবে ধারে খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালে স্থায়ীভাবে বার্সেলোনা ছাড়িয়ে প্যারিস সেন্ট-জার্মেইনে যোগ দেন রাফিনহা। পিএসজিতে এক মৌসুমের বেশি সময়ে ৩৯ ম্যাচ খেললেও সেখানে দলে জায়গা পাকাপোক্ত করতে পারেনি। পরে রিয়াল সোসিয়েদাদের হয়ে আবার লা লিগায় ফেরেন তিনি।
ক্যারিয়ারের শেষ দিকে ইউরোপ ছেড়ে কাতারে পাড়ি জমান রাফিনহা। আল-আরাবি দোহার হয়ে খেলার মাধ্যমেই তার পেশাদার ফুটবল জীবনের সমাপ্তি ঘটে।
ক্লাব ক্যারিয়ারে ৩৮৬ ম্যাচে ৫৫ গোল ও ৪৬টি অ্যাসিস্ট করেন রাফিনহা। শিরোপা জয়ের তালিকায় রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, তিনটি লা লিগা, তিনটি কোপা দেল রে, লিগ ওয়ান ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। এসব শিরোপা তার ইনজুরিতে ক্ষতবিক্ষত ক্যারিয়ারের স্মারক হয়ে থাকবে।