ঢাকা ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
মারা গেলেন মারাঠি অভিনেতা রঞ্জিত তারেক রহমানের স্বদেশে ফেরা নিয়ে যা বলছে বিশ্ব গণমাধ্যম বড়দিনের ছুটিতে লোকে লোকারণ্য কক্সবাজার তারেক রহমান দেশে ফেরায় রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে : প্রেস সচিব এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনে কথা বললেন তারেক রহমান রিজার্ভ বেড়ে ৩২.৭৯ বিলিয়ন ডলার দেশে এসেছে জেবুও বিমানবন্দর থেকে ৩০০ ফিট যাচ্ছেন তারেক রহমান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন, ফুলের মালা দিয়ে বরণ

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ জুন, ২০২৩,  10:23 AM

news image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দলের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার (১২ জুন) দিনগত রাত সোয়া ১টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা হন খালেদা জিয়া। রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। এরপর চিকিৎসদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন রাতে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে বেগম জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ড. এফ এম সিদ্দিকী ও ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।

এরপরই তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মেডিকেল বোর্ড তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া তিন বছরের বেশি সময় গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর আগে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে টানা ৮১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বছর ১ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এর পাঁচ মাস পর ওই বছরের ১০ জুন মধ্যরাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছিল। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হলে সে দফায় একই হাসপাতালে ৫৪ দিন চিকিৎসা নেন বেগম জিয়া। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হলে তার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে।

প্রসঙ্গত ‘বিদেশে যাওয়া যাবেনা এবং বাড়িতে চিকিৎসা নিতে হবে’- এই দুই শর্তে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তিতে রয়েছেন খালেদা জিয়া। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর’-এর ধারা-৪০১ (১)-এর ক্ষমতাবলে সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমবারের মতো শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি পান । ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। এরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দফায় দফায় বাড়ে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার সাত বছরের সাজা হয়।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম