হাইকোর্টে হাজির ব্রাহ্মণবাড়িয়া বার সভাপতি-সম্পাদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ জানুয়ারি, ২০২৩, 12:28 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ জানুয়ারি, ২০২৩, 12:28 PM
হাইকোর্টে হাজির ব্রাহ্মণবাড়িয়া বার সভাপতি-সম্পাদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাসে হট্টগোলের ঘটনায় ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তানভীর ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) মো. আক্কাস আলী ও আইনজীবী জুবায়ের ইসলাম। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি একই আদালত এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই তিন আইনজীবীকে তলব করেন। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার জন্য কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া গত ১০ জানুয়ারি এ ঘটনায় আরও ২১ আইনজীবীকে তলব করেন হাইকোর্ট। তাদেরকে আগামী ২৩ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এর আগে,
এজলাসে হট্টগোলের অভিযোগে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ অন্য আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর চিঠি পাঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক। প্রধান বিচারপতির কাছে সেই চিঠি উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। প্রধান বিচারপতি চিঠিটি বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠালে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, গত ২ জানুয়ারি আদালতের এজলাসে এসে দৈনিক কার্যতালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত মামলাগুলো শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এ সময় বার সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. তানভীর ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী ও অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলামসহ ১০ থেকে ১৫ জন আইনজীবী এসে অশালীন ও অসৌজন্যমূলকভাবে তাকে এজলাস থেকে নেমে যেতে বলেন। এ ছাড়া আদালতের উদ্দেশে উচ্চস্বরে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন অ্যাডভোকেট মো. তানভীর ভূঞা। ওই সময় এজলাসে উপস্থিত ছিলেন কোর্ট পরিদর্শক ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্য, কর্মচারী ও বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ। তাদের মধ্যে কোনো একজনের ধারণ করা ঘটনার ভিডিও নিজের কাছে রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন ওই বিচারক।