ঢাকা ২১ মে, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
বাজেট অধিবেশন শুরু ৫ জুন নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে : ডিপজল ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক কলাপাড়ায় মাসব্যাপী তাঁত শিল্প মেলা শুরু নো হেলমেট নো ফুয়েল বাস্তবায়নে রংপুর জেলা পুলিশের বিশেষ উদ্যোগ ইরানে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা বাবুবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ব্যবসায়ীর মৃত্যু চান্দিনায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দুই ইলিশের দাম ১৪ হাজার টাকা

সেদিন মানবাধিকার কোথায় ছিল, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ অক্টোবর, ২০২২,  1:15 PM

news image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজ অনেক মানবাধিকারের কথা বলা হয়। বৈশ্বিকভাবেও খুবই উচ্চকিত মানবাধিকার প্রসঙ্গ। কিন্তু ১৯৭৫ সালে আমরা যারা আপনজন হারিয়েছিলাম সেদিন কোথায় ছিল মানবাধিকার? মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) হল অব ফেম-এ শেখ রাসেল দিবসের উদ্বোধন ও শেখ রাসেল পদক প্রদান অনুষ্ঠানে গণবভন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ প্রশ্ন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকে বাধাগ্রস্ত করতে আইন করেছে, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছিল তাদের মুখে এখন শুনতে হয় ভোট, গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের কথা। শেখ রাসেল দিবসে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বুলেটের আঘাতে কোনো শিশুর ছোট্ট শরীর ক্ষতবিক্ষত হোক তা চাই না, যুদ্ধ বন্ধ হোক, বাংলাদেশ যে আদর্শ নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে তা নিয়েই যেন এগিয়ে যেতে পারে, সেটাই আমাদের চাওয়া। এর আগে সকালে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিনে প্রতিবছরের মতো এবারও ভালোবাসা জানাতে বনানীতে তার সমাধিতে ছুটে যান বড় দুই বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। এ সময়  কবরে ফুল দিয়ে ছোট ভাইকে স্মরণ করেন তারা। এরপর সেখানে সমাহিত স্বজনদের কবরে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন তারা। পরে স্বজনদের স্মরণে মোনাজাত করেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। তারা কিছুক্ষণ নীরবে প্রিয়জনদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। ভোরে আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিক লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্যান্য সহযোগী সংগঠন তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এদিকে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন পালিত হচ্ছে নানা আয়োজনে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত বছর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। শেখ রাসেল জাতীয় দিবসের এবারের মূল প্রতিপাদ্য: ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এ দিনে (১৮ অক্টোবর) ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেলও। বঙ্গবন্ধুর সাথে নরপিশাচরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল তাকেও। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম