সিরিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ভেঙে দেওয়া হবে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, 10:59 AM
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, 10:59 AM
সিরিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ভেঙে দেওয়া হবে
সিরিয়ায় সকল সামরিক ইউনিটকে ভেঙে দেওয়া হবে জানিয়েছেন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সামরিক কমান্ডার মরহাফ আবু কাসরা, যিনি আবু হাসান আল-হামাওয়ি নামেও পরিচিত। এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সকল সামরিক ইউনিটকে অবশ্যই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অধীনে একীভূত হতে হবে। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমরা আমাদের সকল সশস্ত্র শাখা বিলুপ্ত করে একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনীর আওতায় একীভূত করব।
তিনি আরও বলেন, সিরিয়ার কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো নতুন নেতৃত্বের অধীনে একীভূত হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, সিরিয়া বিভক্ত হবে না। কোনো ফেডারেল সত্ত্বা থাকবে না।
আবু কাসরা উল্লেখ করেন, কুর্দি জনগণ সিরিয়ার জনগণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি বলেন, ‘কুর্দি জনগণ সিরিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আমরা বিশ্বাস করি, সিরিয়া কখনো বিভক্ত হবে না।’
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দিদের হাতে সিরিয়ার উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। সম্প্রতি তারা তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে। তুর্কি সমর্থিত বিদ্রোহীরা বেশ কয়েকটি কুর্দি শহর দখল করেছে।
ইসরায়েলের হামলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি
আবু কাসরা ইসরায়েলের সামরিক হামলা এবং দক্ষিণ সিরিয়ায় তাদের অনুপ্রবেশকে ‘অন্যায়’ বলে অভিহিত করেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই বিষয়টির সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানাই।
বাশার আল আসাদের পতনের পর ইসরায়েল সিরিয়ার সামরিক স্থাপনায় শত শত হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, এসব হামলার লক্ষ্য হচ্ছে শত্রুপক্ষের হাতে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছানো ঠেকানো।
‘সন্ত্রাসী’ খেতাব প্রত্যাহারের আহ্বান
আবু কাসরা পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং এর নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানির (বর্তমানে আহমেদ আল-শারাআ) ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসী’ খেতাব তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ যেন এটি প্রত্যাহার করে আমরা সেই আহ্বান জানাই।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এইচটিএস দলটি শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অধীনে একীভূত হবে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন, এইচটিএস-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠনটি নিজেদের বক্তব্যে সংযম দেখাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করছে যে, সিরিয়ায় ধর্মীয় এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া হবে।