শনিবার ও রোববার যেসব এলাকায় ব্যাংক খোলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ জুন, ২০২৪, 12:51 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ জুন, ২০২৪, 12:51 PM
শনিবার ও রোববার যেসব এলাকায় ব্যাংক খোলা
সাপ্তাহিক ছুটি শনিবার ও ঈদুল আজহার ছুটি রোববার থেকে। তারপরও এই দুই দিন কিছু ব্যাংক খোলা থাকবে। তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাস এবং কোরবানির পশু কেনার সুবিধার্থে সীমিত পরিসরে তফসিলি ব্যাংকের শাখা সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রাজধানীর দুই সিটি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং পশুর হাট সংলগ্ন ব্যাংকের শাখা ও উপশাখা খোলা রাখতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব শাখায় ব্যাংকিং কার্যক্রম রাত ১০টা পর্যন্ত পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। শনিবার ও রোববার (১৫ ও ১৬ জুন) সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নির্ধারিত এলাকায় হাট সংলগ্ন ব্যাংকের শাখা ও উপশাখা খোলা থাকবে।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং নাটোরের সিংড়া পৌরসভার তত্ত্বাবধানে ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত কুরবানির পশুর হাটগুলোতে অধিক সংখ্যক ব্যবসায়ীর সমাগম ঘটে এবং বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে। ফলে হাটগুলোতে আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তার বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
কুরবানির পশুর হাটগুলোর নিকট দূরত্বেই বিভিন্ন ব্যাংক শাখা বা উপশাখা তাদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। হাটগুলোর নিকটবর্তী এসব ব্যাংক শাখা বা উপশাখা ব্যবহার করে কুরবানির পশু ব্যবসায়ীরা তাদের পশু বিক্রির অর্থ লেনদেনে ব্যাংকের সহায়তা নিতে পারেন। তাছাড়া পশুর হাটে ব্যাংকের অস্থায়ী বুথ খোলা হলে পশু ব্যবসায়ীরা অর্থ লেনদেনে উক্ত বুথের সহায়তা নিতে পারেন।
এ পরিস্থিতিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরী এবং নাটোরের সিংড়া পৌরসভার পশুর হাটগুলোর নিকটবর্তী ব্যাংকের শাখা বা উপশাখাগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থায় ১৪ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত রাত ১০টা পর্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে। আর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কুরবানির পশুর হাটে অস্থায়ী বুথ স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা, উপশাখা ও বুথগুলোতে অতিরিক্ত সময়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিশেষ ভাতা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।