শীতে কোষ্ঠকাঠিন্য ঠেকাতে করণীয়
লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, 11:18 AM
লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, 11:18 AM
শীতে কোষ্ঠকাঠিন্য ঠেকাতে করণীয়
বছরের যেকোনো সময়েই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগেন সব বয়সের মানুষই। তবে শীতকালে এ সমস্যা বেড়ে যায়। কারণ ঠাণ্ডা আবহাওয়াতে অপরিকল্পিত ডায়েট, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস আর পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে অনেকেই ভুল করেন। আবার বংশগত কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগে ভোগেন অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা একেকজনের একেকরকম। অনেকের এ সমস্যা ক্ষণস্থায়ী। আবার অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যায় ভুগছেন।অনেক কিছু করেও এ সমস্যার সমাধান অনেকে পাননি। তবে আপনি কি জানেন, খাদ্যাভাসে ৭ খাবার যোগ করেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে আপনি দূরে থাকতে পারেন। শীতে কোষ্ঠকাঠিন্য ঠেকাতে ডায়েটে ৭ খাবার প্রাধান্য দিলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো হলো-
১। আপেল: পুষ্টিবিদদের মতে, আপেল কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে সক্ষম। আপেলে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানে খোসাসহ আপেল খাওয়াই উচিত। রোজ সকালে একটি আপেল কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
২। আঙুর: এই ছোট্ট ফলগুলোতেও রয়েছে খাদ্যের নানা ধরনের জরুরি উপাদান। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পানির জুড়ি মেলা ভার। শরীরে পানির মাত্রা যত বেশি থাকবে, ততই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমবে। আঙুরে পানির সঙ্গে রয়েছে যথেষ্ট ফাইবার। ফলে সকালে কয়েকটি করে আঙুর খাওয়া গেলে শরীর যেমন সুস্থ থাকবে, তেমনি মুক্তি মিলবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও।
৩। কিউই: এই ফলে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। পাশাপাশি এক একটি কিউইতে থাকে আড়াই গ্রাম ফাইবার। তা ছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পানি। সব মিলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে বেশ কার্যকরীই বলা যায় এই ফলকে।
৪। কলমি শাক: কলমি শাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কলমি শাকের পাতা ও কাণ্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ রয়েছে। আঁশ খাদ্য হজম, পরিপাক ও বিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে। তাই ডায়েটে কলমি শাকও রাখতে পারেন।
৫। শসা: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে শসাকেও প্রাধান্য দিতে পারেন। শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি। সেই সঙ্গে এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে আপনাকে দূরে রাখে।
৬। কলা: কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধানে মহা ঔষধ বলতে পারেন কলাকে। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সমস্যা সমাধানে দারুণ কাজ করে। এতে থাকা পটাশিয়াম বৃহদান্ত্র ও ক্ষুদ্রান্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে হজমশক্তিকে আরও গতিশীল করে।
৭। পর্যাপ্ত পানি: ফাইবারসমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি নিশ্চিত করুন প্রতিদিন ৩ লিটার পানি পাান করার অভ্যাস। দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততার কারণে আমরা প্রায়ই পানি পান করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজকে অবহেলা করে ফেলি। তবে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তাদের অবশ্যই নিয়মিত ৩ লিটার পানি গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ঘরোয়া এ তিন উপায়েই মুক্তি মিলবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া