সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রতিচ্ছবি যেন মানিকগঞ্জের রিতা
১১ জুলাই, ২০২৫, 10:06 PM

NL24 News
১১ জুলাই, ২০২৫, 10:06 PM

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রতিচ্ছবি যেন মানিকগঞ্জের রিতা
মানিকগঞ্জে এক সময়ে খুবই জনপ্রিয় স্লোগান ছিল ‘মানিকগঞ্জের মাটি, ধানের শীষের ঘাঁটি’ গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আবার নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে সেই স্লোগানটি। যার নেপথ্যে ছিল বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক আফরোজা খানম রিতা। তার কর্মপ্রবাহ, নেতৃত্বগুণ এবং রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় যেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ারই প্রতিচ্ছবি দেখা যায় বলে মনে করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসুচী জেলা বিএনপির আহবায়ক আফরোজা খানম রিতাই সরাসরি মাঠে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার উপর হামলা ও মামলার আসামী হয়েও নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন। ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত মানিকগঞ্জ জেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৭২টি মামলায় প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মীর নামে মামলা ব্যক্তিগত খরচে আইনী সহায়তা দিয়ে আসছেন এমনটাই জানিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আর ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের পর জেলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকাও রাখছেন আফরোজা খানম রিতা। জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন্দির,বাড়ি ঘর পাহাড়া দেওয়া থেকে শুরু করে সভা, সমাবেশ, এবং ৩১ দফা নিয়ে গ্রামে গ্রামে কর্মশালার আয়োজন, খেলাধুলা, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে রিতার অবদানগুলো বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দৃশ্যমান।
তাই মানিকগঞ্জ জেলার তিনটি আসনেই এবার আফরোজা খানম রিতা জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন বলে মনে করেন বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতেই তিনটি আসনেই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন বিএনপির এই নেত্রী।
২০০১ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (হরিরামপুর-শিবালয়) ও মানিকগঞ্জ-৩ (সদর-সাটুরিয়া) (পূর্বের আসন বিন্যাস মোতাবেক) নির্বাচনী এলাকায় চারদলীয় জোট মনোনীত প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী মরহুম হারুণার রশিদ খান মুন্নুর দুইটি নির্বাচনী আসনের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে আফরোজা খানম রিতা রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন।
২০০৩ সালে বিএনপির তখনকার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের উপস্থিতিতে কেরানীগঞ্জে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিভাগীয় তৃণমূল প্রতিনিধি সভায়, মানিকগঞ্জ জেলার তৃণমূল প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ২০০৫ সালের ২৯ মার্চ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের নেতৃত্বে গাজীপুরে ইউনিয়ন প্রতিনিধি সভা সফল ও সার্থক করার লক্ষ্যে জেলায় একাধিক প্রস্তুতিমূলক সভা আয়োজন করে এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে গাজীপুরের সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও ২০০৭ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (স্থগিতকৃত) মানিকগঞ্জ-২ শিবালয়-হরিরামপুর নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পান। ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ সিংগাইর-হরিরামপুর আসনের চার দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। ২০১০ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে ২০১২ সালে মানিকগঞ্জ শহরের শহীদ রফিক সড়কস্থ দলীয় কার্যালয়কে ব্যাপক সংষ্কারের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের ব্যবহারের জন্য উপযোগী করে তোলেন।
এরপর ২০১৩ সালে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে ঘোষিত প্রত্যেকটি আন্দোলন কর্মসূচীতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং নেতাকর্মীদের হামলা মামলাসহ সার্বিক বিষয় দেখভাল করেন।
আফরোজা খানম রিতার দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বের কারণেই ২০১৫ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল মনোনীত প্রার্থীরা ০৭টি উপজেলাতেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় লাভ করে। সেইসাথে ২০১৫ সালে হওয়া মানিকগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে তৃণমূলের সকল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ব্যাপক প্রচারনা চালান।
২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলার ৬৫টি ইউনিয়নে, সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের মনোনয়ন দিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সমন্বয়ের মাধ্যমে নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি।
এসব কারণেই ২০২১ সালের ১৪ মার্চ মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিলে জেলার ৭টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভার মোট ০৯টি ইউনিটের ৪৫জন কাউন্সিলরের ভোটের মধ্যে ৪২ ভোট পেয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি হিসাবে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেন রিতা।
তারপর শুরু হয় আওয়ামী ফ্যাসীবাদের বিরুদ্ধে নতুন চ্যালেঞ্জ। ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় ঐতিহাসিক গণসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাঠে অবস্থান করেন। ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই গাবতলীতে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। ১৯ আগস্ট পল্টন থেকে মগবাজার পর্যন্ত প্রায় ০৫ কিলোমিটার পদযাত্রায় হাজার হাজার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন।
২০২৩ সালের ০১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তৃণমূলের প্রায় দশ হাজার কর্মী সমর্থক, ও নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে বেউথা ঘাট থেকে মানিকগঞ্জ ল-কলেজ পর্যন্ত স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ বর্ণাঢ্য র্যালী ও গণজমায়েত’এর নেতৃত্ব দেন, যা মানিকগঞ্জ সহ সারা বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়।
এছাড়াও ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত গাবতলী সমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে মিছিলে যোগদানসহ ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত আমিন বাজার সমাবেশে সহশ্রাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে মিছিল সহকারে অংশগ্রহণ করেন। একই বছরের ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে পাঁচ হাজার অধিক নেতাকর্মী নিয়ে মিছিল যোগে অংশগ্রহণ করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রাখেন।
এসব কারণে আওয়ামী সরকারের রোশানলে পরে ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী বাস্তবায়নের সময়ে নাশকতার মিথ্যা মামলায় ১নং আসামী হন রিতা। (মামলা নং-৩৬(১০)২০২৩, মানিকগঞ্জ সদর)।
এরপর শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মানিকগঞ্জ জেলাবাসীর আয়োজনে কোটা সংষ্কার ও রাষ্ট্র সংষ্কারের লক্ষ্যে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবীতে মানিকগঞ্জ শহরে জাতীয় ঐক্যের সমাবেশ ও মিছিল করেন রিতা। সরকার পতনের আন্দোলন এক দফায় রূপ নিলে ছাত্র-জনতার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে জীবন বাজি রেখে ২০২৪ সালের ০৪ আগস্ট মানিকগঞ্জ বাসস্ট্র্যান্ডের মানরা এলাকায় সমস্ত নেতাকর্মী নিয়ে অংশগ্রহণ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করেন।
হাসিনার পতনের পর ২০২৪ সালের ০৬ আগস্ট হাজার হাজার নেতাকর্মী, সমর্থক ও ছাত্র জনতাকে সাথে নিয়ে বিজয় মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্র্যান্ডে মহাসমাবেশ করেন তিনি।
পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে সারা মানিকগঞ্জের পাহারাদারিত্বের নেতৃত্ব দিয়ে ১৬৪২টি গ্রাম, ৬৫টি ইউনিয়ন, ৭টি থানা, ২টি পৌরসভা সর্বোপরি মানিকগঞ্জের সর্বস্তরের প্রশাসন ও জনগণকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব, উৎসব মুখর ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে মানিকগঞ্জের জনগণকে আশ্বস্ত করার লক্ষ্যে ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর (সকাল ১০:০০টা থেকে রাত ০২:০০টা) পর্যন্ত জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে ৭টি থানা ও ২টি পৌরসভা সফরের মধ্য দিয়ে নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে রাখেন এই দায়িত্বশীল নেত্রী।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস (৭ই নভেম্বর ২০২৪) উৎযাপনে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী বর্ণাঢ্য র্যালী শতভাগ সফল ও স্বার্থক করার লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ জেলার হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের স্বতঃর্স্ফূত অংশগ্রহণে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে কাকরাইল মসজিদ মোড়-মৎস্য ভবন-ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট-শাহবাগ-বাংলামটর-কাওরান বাজার-ফার্মগেট হয়ে মানিকমিয়া এভিনিউ পর্যন্ত দীর্ঘ ০৯ কিলোমিটারের অধিক দূরত্ব পায়ে হেঁটে সম্পন্ন করেন।
মানিকগঞ্জ জেলা ও ঢাকার আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে বিএনপির হাইকমান্ডের কাছে আস্থায় পরিণত হন আফরোজা খানম রিতা। ২০২৪ সালের ১৫ জুন স্পেশাল এ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপার্সনস ফরেন এ্যাফেয়ার্স এ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরআগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হওয়ারও গৌরব অর্জন করেন রিতা।
মানিকগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র সেওতা এলাকায় ২০২৩ সালের ০৪ জুন রিতার নিজস্ব পৃষ্ঠপোষকতা ও পরিচর্যায় গড়ে উঠে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার। যার ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এছাড়াও রিতার নিজ বাসভবন মানিকগঞ্জের গিলন্ড, মুন্নু সিটি এলাকায় ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল তারেক রহমানের ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা বিভাগীয় ইফতার মাহফিল তিন হাজার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে আয়োজক হিসাবে সফলভাবে সম্পন্ন করেন তিনি।
তাছাড়া, মুন্নু সিটিতে ২০২৪ সালের ১১ জুন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষেও বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সেমিনারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-এর উপস্থিতিতে সফলভাবে সম্পন্ন করেন।
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে গ্রামে গঞ্জে কর্মশালার পাশাপাশি তার নিজ বাসভবন মুন্নু সিটিতে ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর সকাল ৯:০০টা থেকে সন্ধ্যা ৬:০০টা পর্যন্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থিতিতে জেলার ৬৫টি ইউনিয়ন, ৭টি উপজেলা, ২টি পৌরসভা এবং জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৩০০ প্রশিক্ষণার্থীর প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আফরোজা খানম রিতা একাধারে একজন সফল রাজনিতিবীদ ও ব্যবসায়ী। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। তিনি ১৯৭৮ সালে অগ্রনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস. এস. সিতে বানিজ্য বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ইউনিভার্সিটি উইমেনস ফেডারেশন কলেজ থেকে এইচ. এস. সিতেও বাণিজ্য বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে বি.কম(অনার্স) ও এম.কম ডিগ্রি অর্জন করেন আফরোজা খানম রিতা।
মুন্নু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ-এর চেয়ারম্যান আফরোজা খানম রিতা পারিবারিক জীবনে ০৩ পুত্র সন্তানের জননী। বড় সন্তান রাশীদ মাইমুনুল ইসলাম অন্তু, লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ থেকে ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এ উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করে, মুন্নু সিরামিকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মেজ সন্তান রাশীদ সামিউল ইসলাম অর্ক, লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করে, মুন্নু ফ্যাব্রিক্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ছোট সন্তান রাশীদ রাফিউল ইসলাম অর্নব, লন্ডনের সিটি ইউনির্ভাসিটি থেকে ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্সে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করে, মুন্নু মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর স্বামী মইনুল ইসলাম, মুন্নু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ-এর ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ বলেন, আফরোজা খানম রিতা একজন সম্ভ্রান্ত ও সম্পদশালী পরিবারের সন্তান। তিনি মুন্নু গ্রুপের চেয়ারম্যান থাকলেও সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করার কারনে ঠিকমত ব্যবসায়-বাণিজ্য দেখাশোনা করতে না পারার কারণে তার ব্যবসার অনেক ক্ষতিও হয়েছে। তিনি চাইলেই আরাম আয়েশে জীবন পাড় করতে পারতেন কিন্তু তিনি রোদে পুরে বৃ্ষ্টিতে ভিজে মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন।
জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লিটন বলেন, রিতা আপার মতো পরিশ্রমী নেতা মানিকগঞ্জে আর নেই। চাঁদাবাজির বিরোধে তার কঠোর হুশিয়ারিতে পরিবহন সেক্টর সহ জেলায় কোন চাঁদাবাজী নেই। তিনি সন্তানের মতো আমাদের নেতাকর্মীদের যেভাবে আগ্লেয় রেখেছেন অন্য কোন নেতাকে পাওয়া যায়নি। দলের জন্য তার ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মানিকগঞ্জ সদর-সাটুরিয়া সহ তিনটি আসনে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে এমপি ও মন্ত্রী হয়ে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ দিবে এমনটা আশা করেন।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এ্যাড. জিন্নাহ খান বলেন, আফরোজা খানম রিতার কারনেই মানিকগঞ্জে বিএনপি এতোটা শক্তিশালী হয়েছে। কারণ বিগত দিনের আন্দোলনে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার যাবতীয় খরচ আপাই বহন করেছে। আমার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা ছিল সবই আপা বহন করছে। আপা না থাকলে নেতাকর্মীদের ধরে রাখা কষ্ট হতো আমাদের।
জেলা যুবদলের সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান তুহিন বলেন, মা মাটি ও মানুষের নেতৃ আফরোজা খানম রিতা আপার নেতৃত্বে কেন্দ্রঘোষিত সকল কর্মসূচি ঢাকা ও মানিকগঞ্জে, নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে পালন করেছে এবং আন্দোলন সফল হয়েছে। আগামীতে নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে রিতা আপা মানিকগঞ্জবাসীর জন্য জোরালো ভূমিকা রাখবে এটাই এখন আমাদের চাওয়া।
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আজাদ হোসেন খান বলেন, আফরোজা খানম রিতার নেতৃত্ব মানিকগঞ্জে বিএনপি আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল হয়ে উঠেছে। আগে বিএনপিকে কিছুটা গ্রুপিং থাকলেও আফরোজা খানম রিতা দায়িত্ব নেয়ার পর সবাই এখন ঐক্যবদ্ধ, দলে কোন গ্রুপিং নাই। আফরোজা খানম রিতা শুধু একজন দলীয় নেতা নন, বরং ভবিষ্যতের জন্য একজন শক্তিশালী জাতীয় নেতৃত্বে পরিণত হওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা রাখেন।