লোহার টুংটাং শব্দে মুখরিত কামাড়পাড়া
নিজস্ব প্রতিনিধি
৩০ জুন, ২০২২, 4:32 PM
নিজস্ব প্রতিনিধি
৩০ জুন, ২০২২, 4:32 PM
লোহার টুংটাং শব্দে মুখরিত কামাড়পাড়া
আর মাত্র কয়েকদিন পরই মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহা মানেই কোরবানির ঈদ। আর এই কোরবানির ঈদ এলেই টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কামাড় পাড়াগুলো।বেড়ে যাই কারিগরদের ব্যস্ততা।হাতুড়ি পেটা শব্দে মুখর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন বাজারের কামাড়পাড়া।সারাদিন তপ্ত ইস্পাত গলিয়ে চলছে দা,ছুরি,চাইনিজ কুড়াল,বটি,চাপাতি তৈরির কাজ।দম ফেলারও সময় নেই কামাড়দের।নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন তারা।কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন।কামাড়পাড়ায় এখন গেলেই শুনা যাই হাতুড়ির পেটানোর শব্দ। কেউ ভাড়ি হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরঙা লোহার খন্ড।কেউ ভোঁতা হওয়া দা,ছুরি শাণ দিচ্ছেন।চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন কামাড়ের দোকানে ঘুরে দেখা যায়,দা,ছুরি,চাইনিজ কুড়াল,বটি,চাপাতির বেঁচাকেনা বেড়েছে।দামও মোটামুটি সন্তুষজনক।শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামল একজন দা-ছুরি বিক্রেতা তিনি জানান, প্রতি পিস চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৭০০টাকা, চামড়া খোলার ছুড়ি ৭০ থেকে ২০০ টাকা, জবাই করার ছুরি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, চাইনিজ কুড়াল ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, ছুরি ধার করার স্টিল প্রতি ৫০ টাকা, দা ১০০ থেকে ২৫০ টাকা, বটি ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা।তবে কামাড়পাড়ার কারিগররা অভিযোগ করেন,তাদের পরিশ্রমের চেয়ে মজুরীর অনেক কম। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বালুগ্রাম বালিয়াডাঙ্গা এলাকার আশিস কর্মকার ও কার্তিক কর্মকার জানান,কোরবানি ঈদে তারা প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের উপকরণ তৈরি করেন। বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি। এছাড়া আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসব পণ্য তৈরির বেশকিছু প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় কামার সম্প্রদায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে।মুসা মিয়া জানান, কোরবানি ঈদের বেশ কিছুদিন বাকি তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছেন। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি,দা,চাপাতি,চাইনিজ কুড়াল, বটির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা।