রোনা সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে চীনে
০৩ নভেম্বর, ২০২১, 1:01 PM
NL24 News
০৩ নভেম্বর, ২০২১, 1:01 PM
রোনা সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে চীনে
প্রায় তিন মাসের মধ্যে স্থানীয়ভাবে করোনা সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে চীনে। এর ফলে রাজধানী বেইজিংয়ে দেয়া হতে পারে কঠোর বিধিনিষেধ। এরই মধ্যে দুটি বিমানবন্দরে আজ বুধবার সকালেই বেশির ভাগ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেই আগামী সপ্তাহে কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ পদের সদস্যদের এক গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ আছে সেখানে। ফলে পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয় তা এখন দেখার বিষয়। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে আরো বলা হয়, বুধবার ন্যাশনাল হেলথ কমিশন নিশ্চিত করেছে যে, মঙ্গলবার চীনে স্থানীয়ভাবে লক্ষণযুক্ত ৯৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর একদিন আগে অর্থাৎ মঙ্গলবার সেখানে দিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫৪ জন। ৯ই আগস্ট চীনে সর্বশেষ বড় রকমের সংক্রমণ দেখা দেয়। তারপর এটাই একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। স্থানীয়ভাবে নতুন করে বেইজিংয়ে সংক্রমিত হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে আবারও শপিং মল, সুপারমার্কেট, হোটেল, সিনেমা এবং পাতাল রেলের প্রবেশপথে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে বাইরে ব্যক্তিবিশেষের মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্যগত কোড যাচাই করছেন কর্মীরা। বার বার অধিবাসীদেরকে বেইজিং শহরের বাইরে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে, বিয়ে মুলতবি রাখতে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠান সাদামাটা করতে এবং অত্যাবশ্যক নয়- এমন জমায়েতে কম মানুষের উপস্থিতি বজায় রাখতে কর্তৃপক্ষ আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে। বুধবার বেইজিং ডেক্সিং এয়ারপোর্টে যেসব ফ্লাইটের শিডিউল ছিল, তার মধ্যে শতকরা ৬০.৪ ভাগ সকালে বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে বেইজিং ক্যাপিটাল এয়াপোর্টের শতকরা ৪৯.৮ ভাগ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এসব ঘটনা যখন ঘটছে তখন বেইজিংয়ে কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির তিন শতাধিক সদস্য রুদ্ধদ্বার মিটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই মিটিং সোমবার শুরু হয়ে ১১ই নভেম্বর পর্যন্ত চলার কথা। এতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একটি রেজ্যুলুশন উত্থাপন করতে পারেন। এই রেজ্যুলুশন তার কর্তৃত্ব, তার ক্ষমতা এবং শক্তিকে আরো সুসংহত করবে। এর মধ্য দিয়ে আগামী বছর তার রেকর্ড তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা পাকাপোক্ত হবে। রাজধানী বেইজিংয়ের বাইরে নতুন সংক্রমণ দেখা দিয়েছে উত্তর, উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম প্রদেশগুলোতে। এর মধ্যে আছে হেইলোঙজিয়াং, হেবেই, গাংসু, ইনার মঙ্গোলিয়া, নিঙ্গসিয়া এবং কিউহাই।