ঢাকা ২৫ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
এখনো পুড়ছে কড়াইল বস্তি, নিয়ন্ত্রণে ১৯ ইউনিট দেশের কৃষিজমি দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৩৩ নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত: রিজভী উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ অনুমোদন শেখ হাসিনার প্লট দুর্নীতি মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা ৭০ বছর বয়সে কোরআন হিফজ করলেন সৌদি নারী শাজাহানপুরে এক নারীর ঝুলন্ত ও তার দুই সন্তানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ বিসিএস প্রার্থীদের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের তফশিল: ইসি সানাউল্লাহ

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউ শুনানি ৬ মার্চ

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,  11:42 AM

news image

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউ শুনানিতে সময় নিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার পক্ষে ২ সপ্তাহের সময় আবেদন করেন তার আইনজীবী। পরে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এর শুনানির কথা থাকলেও সময় আবেদনের কারনে তা আর হয়নি। এদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেলরাও তাদের পদমর্যাদা বাড়াতে আবেদন করেছেন যার শুনানিও একই সঙ্গে ৬ মার্চ হবে।

আদালতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের রিভিউ আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। আর রিভিউ আবেদনে পক্ষভুক্ত হওয়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম. আবদুল কাইয়ূম।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়। তবে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সাংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে বলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিটটি করেন।

২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ৮ দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। সেই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই রায়ে হাইকোর্টের দেয়া ৮ দফা নির্দেশনার কিছুটা সংশোধন করে তিন দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেগুলো হলো-

১. যেহেতু সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন

২. জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদাসম্পন্নরা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন।

৩. জেলা জজদের পরেই অতিরিক্ত সচিবেরা ১৭ নম্বর ক্রমিকে থাকবেন।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম