ঢাকা ০৮ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সুনামগঞ্জ ১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি আসাদ মুরাদ তালুকদার সাংবাদিক এস কে কামরুল হাসানের নামে মামলা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজির ৪০ কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ‘এনবিআর কর্মকর্তাদের ভয়ের কিছু নেই, সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভিন্নভাবে দেখা হবে’ টাঙ্গাইলের বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ৩ নবীজীর প্রেমে নিবেদিত নতুন নাশিদ ‘ওয়া রাফানা লাকা জিকরাক’ প্রকাশিত চালের দাম নিয়ে যা বললেন খাদ্য উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচন পেছানো নয়, সুষ্ঠু পরিবেশ চায় জামায়াত: গোলাম পরওয়ার চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের বিক্ষোভে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান গণহত্যার মামলা: হাসিনা-কামাল-মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আপিল বিভাগে আবেদন

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ জানুয়ারি, ২০২৫,  11:09 AM

news image

দেশের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম সংশোধনের জন্য আপিল বিভাগে দ্রুত রিভিউ শুনানির আবেদন করেছে বিচারকদের সংগঠন জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে আইনজীবী ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর এ আবেদন করেন। এ সময় তিনি আপিল বিভাগকে বলেন, এ ব্যাপারে দ্রুত শুনানি হওয়া উচিত। কারণ, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিকমতো হয়নি। পরে প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের এ মামলা শুনানি করতে ১৬ জানুয়ারির কার্যতালিকায় যুক্ত করতে বলেন। এর আগে, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিক করে রায় দেন আপিল বিভাগ, যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর। সেই রায়ে বলা হয়, 

১. সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে রাখতে হবে।

২. জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যরা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ২৪ নম্বর থেকে ১৬ নম্বরে সরকারের সচিবদের সমমর্যাদায় উন্নীত হবেন। জুডিশিয়াল সার্ভিসের সর্বোচ্চ পদ জেলা জজ। অন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে সচিবরা রয়েছেন।

৩. অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যদের অবস্থান হবে জেলা জজদের ঠিক পরেই, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ১৭ নম্বরে।

রায়ে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্র বা অন্য কোনো কার্যক্রমে যেন এর ব্যবহার না হয়। প্রসঙ্গত, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান। ওই রিটের ওপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ওই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম