রাজধানীর বেগুনবাড়ীতে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা
২৮ মার্চ, ২০২২, 4:16 PM
NL24 News
২৮ মার্চ, ২০২২, 4:16 PM
রাজধানীর বেগুনবাড়ীতে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা
কমল সরকার : ২৬ শে মার্চ সরজমিনে গিয়ে জানা যায় সবুজবাগ থানাধীন দক্ষিণগাঁও এলাকার বেগুন বাড়িতে এক গৃহবধূকে চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। জানা যায় যে, বেগুনবাড়ি ২নং রোড মাস্টার বাড়ি ৭৩ নং ওয়ার্ড মুজিবুর সাহেবের বাড়ি, দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন, মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম (৩০) এবং তার স্ত্রী মুসা তানিয়া আফরোজ (২৭) ও মেয়ে মাইমুনা জাহান (৪) ছেলে তানভীরুল ইসলাম (১০ মাস)। মুজিবুর সাহেবের দ্বিতীয় তলায় বসবাস করতেন এই দম্পতি। জানা যায় যে, মোঃ মইনুল ইসলাম ইলেকট্রো মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হিসাবে চাকরি করতেন ঢাকার মুগদা হাসপাতালে। তিনি কিছুদিন আগে বদলি হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরিতে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী মুছা তানিয়া দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
মইনুলের গ্রামের বাড়ি সন্দোল পুর, থানা-পীরগঞ্জ, রংপুর। আরো জানা যায় যে, মইনুলের ভাড়া বাসায় এসি মেরামতের জন্য পূর্বে যে এসি টেকনিশিয়ান এসি মেরামতের কাজ করেছিলেন, মুগদা থানাধীন, বেস্ট এলেক্ট্রনিকস এর টেকনিশিয়ান, সেই সূত্র ধরে এসির মিস্ত্রি মোহাম্মদ বাপ্পি আনুমানিক বিকাল ৩ টা ৩৫ মইনুলের বাসার দরজা নক করে, তার স্ত্রী দরজা খুলে দেয়, গৃহবধূকে বলে আমি এসি মেরামতের জন্য এসেছি, স্ত্রী বলে আপনার ভাইয়ের সাথে কথা বলেন, বাপ্পির ফোন দিয়ে মইনুলের সাথে স্ত্রী এবং বাপ্পির কথা হয়, মইনুল বলে আমি ঢাকা আসলে এসি মেরামত করা হবে', এরপর ফোন রেখে দেয়, এটাই ছিল স্ত্রী তানিয়ার সাথে শেষ কথা। এরপর তানিয়ার ১০ মাসের শিশুপুত্র তানভীরুল ইসলামকে মুখে কসটেপ মেরে এবং তার ৪ বছরের শিশু কন্যা মাইমুনা জাহানকে হাত কসটেপ দিয়ে বাঁধা হয়, তারপর ওই গৃহবধূকে ধারালো চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে মাথা-ঘাড়সহ, বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর, ঘরে থাকা নগদ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণ এবং দুইটি মোবাইল ফোন নিয়ে খুনি বাপ্পি দ্রুত পালিয়ে যায়। দরজা খোলা থাকার কারণে,
চার বছরের কন্যা শিশুটি কান্না শুরু করলে, বাড়ির মালিক এসে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে রক্তাক্ত তানিয়ার নিথর দেহ দেখতে পায়। বাড়ির মালিক মজিবুর সাহেব সাথে সাথে ৯৯৯ ফোন দিলে অতি দ্রুত সবুজবাগ থানার ওসি মুরাদুল ইসলাম তার টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে ধ্রুত চলে আসেন এবং বিভিন্নভাবে তদন্ত শুরু করেন, বাড়ির মালিক মইনুলকে ফোন দিলে সে ফরিদপুর মেডিকেলে কর্মরত ছিলেন। ফোন পেয়ে দ্রুত ঢাকায় ছুটে আসেন, এসে স্ত্রীর লাশটি শনাক্ত করেন। সবুজবাগ থানার পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতন্দতের এর জন্য লাশটি, ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়। পরে নিহতের স্বামী ময়নুল ইসলাম সবুজবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন, মামলা নং ৪০, তারিখ: ২৭-৩-২০২২ মামলাটির তদন্তভার গ্রহন করেন ওসি তদন্ত ইন্সপেক্টর আমিনুল বাশার, তবে পুলিশ আসামিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে, সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুরাদুল ইসলাম মুক্তখবরকে বলেন, আসামীকে ধরতে আমরা সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গ্রেপ্তার করলে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে, কি কারনে ওই গৃহবধূকে নিশংসভাবে খুন করা হলো।