যেসব কারণে কমে যায় পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন
লাইফস্টাইল ডেস্ক
০১ জানুয়ারি, ২০২৪, 12:55 PM
লাইফস্টাইল ডেস্ক
০১ জানুয়ারি, ২০২৪, 12:55 PM
যেসব কারণে কমে যায় পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন
টেস্টোস্টেরন স্টেরয়েড জাতীয় হরমোন, এটি কোলেস্টেরল থেকে সংশ্লেষিত হয়ে তৈরি হয়। এ হরমোন প্রধানত পুরুষ প্রজননতন্ত্রের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে। টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, আবার বেড়ে গেলেও বিপদ হতে পারে। পেশির ভর ও শক্তিকে প্রভাবিত করে টেস্টোস্টেরন। এটি শুধু পুরুষদেরই নয়, নারীদের মধ্যেও থাকে। পুরুষদের মধ্যে এ হরমোনের হার নারীদের তুলনায় ২০ গুণ বেশি। পুরুষের যৌন বৈশিষ্ট্যর জন্য দায়ী এ টেস্টোস্টেরন হরমোন। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য মতে, ‘টেস্টোস্টেরনের স্বাভাবিক মাত্রা হল প্রতি ডেসিলিটারে ৩০০ থেকে ১০০০ ন্যানোগ্রাম। প্রতি ডেসিলিটারে এই হরমোনের মাত্রা ৩০০ ন্যানোগ্রামের নিচে নামলে, হরমোন কমেছে বলে ধরা হয়। তরুণ বয়স পর্যন্ত এই হরমোনের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে, তবে মধ্যবয়স থেকে ক্রমশ কমতে থাকে।
টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার কারণ
টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়ার বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে, যেমন-
১. অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান।
২. অনিয়ন্ত্রিত মাত্রায় টাইপ-২ ডায়াবেটিস।
৩. হজমে সমস্যা ও শরীরে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে গেলে।
৪. আদর্শ খাবার গ্রহণ না করা।
৫. দীর্ঘদিন জটিল রোগে অসুস্থ থাকলে।
৬. অণ্ডকোষের সংক্রমণ।
৭. যকৃতের পচন রোগ।
৮. এইচআইভি/এইডস।
৯. প্রোল্যাক্টিন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি।
১০. হঠাৎ স্থূলতা বা ওজন অতিরিক্ত কমে গেলে।
১১. ক্যান্সারের জন্য কেমোথেরাপি গ্রহণ।
১২. পিটুইটারি গ্রন্থির কর্মহীনতা বা টিউমার হলে।
১৩.জন্মগত ত্রুটি থাকলে ও
১৪. অতিরিক্ত পড়াশুনা বা অনলাইন আসক্তির জন্য অলস সময় পার করা।
টেস্টোস্টেরন কমে গেলে যেসব সমস্যা হতে পারে
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে দৈহিক চাহিদা কমে যায়। অনেক সময় শারীরিক অক্ষমতা দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে টেস্টিস আকার ছোট হয়ে যাওয়া ও শুক্রাণুর হার কমে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।এছাড়া আরও যেসব সমস্যা হতে পারে-
১. হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া
২. ক্লান্তি ও অবসাদ
৩. চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি
শরীর সুস্থ এবং কর্মক্ষম রাখতে হলে অবশ্যই টেস্টোস্টেরনের পরিমাণের নিয়ন্ত্রণ রাখা দরকার। এই ক্ষেত্রে ছেলে কিংবা মেয়ে সবারই একটু নজর রাখতে হবে। কারণ হরমোনের পরিমাণ ঠিক না রেখে সুস্থ জীবনের প্রত্যাশা করা উচিৎ নয়। স্বাস্থ্যের উন্নতি হোক বা শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হোক-এ ক্ষেত্রে ডায়েট ও ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই খাবারের পাশাপাশি অভ্যাস করতে হবে দৈনিক ব্যায়ামের। পাশাপাশি স্ট্রেস কমানো, ভিটামিন ডি ভারসাম্যে রাখা, নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোও টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।