মমতাজের বিরুদ্ধে ভারতে আবারও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
বিনোদন প্রতিবেদক
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, 12:59 PM
বিনোদন প্রতিবেদক
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, 12:59 PM
মমতাজের বিরুদ্ধে ভারতে আবারও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
বাংলাদেশের লোকগানের জনপ্রিয় শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মুর্শিদাবাদে। চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় গায়িকার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, মামলায় সংসদ সদস্য মমতাজের বিরুদ্ধে এর আগেও তিনবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। পরে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করলে তা খারিজ হয়ে যায়। এদিকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সশরীরে হাজিরা দিতে হবে মমতাজকে। গত ৯ আগস্ট মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল তার। ৮ আগস্ট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আদালত থেকে জানানো হয়—ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মমতাজের মামলায় চার্জ গঠন করা হবে। মমতাজ যদি ওইদিন উপস্থিত না হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে। এরপরই গায়িকা বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে আদালতে একটি আবেদনপত্র দাখিল করে জানান, ওই সময় কানাডায় একটি অনুষ্ঠানে থাকবেন তিনি। এ কারণে আদালতে তার পক্ষে হাজিরা দেয়া সম্ভব হবে না। মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজের আবেদনটি খারিজ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানি জারি করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনের জন্য আয়োজক সংস্থার কর্মকর্তা শক্তিশঙ্কর বাগচীর সঙ্গে লিখিত চুক্তি হয় মমতাজের। চুক্তি অনুযায়ী শক্তিশঙ্করের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নেবেন তিনি। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ১৪ লাখ টাকায় মুর্শিদাবাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা ছিল গায়িকা মমতাজের। আরও বলা হয়েছে, এ গায়িকা অগ্রিম টাকাও নেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। তারপরই চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মমতাজের বিরুদ্ধে মামলা করেন শক্তিশঙ্কর। সেই প্রেক্ষিত্রে পরবর্তীতে সমন জারি করেন আদালত। এর আগে গত ৯ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন গায়িকা মমতাজের বিরুদ্ধে। এরপর ১৬ আগস্ট আদালতের এ রায় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে তিনি জানিয়েছিলেন—মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। তাকে হয়রানি করার জন্যই দায়ের করা হয়েছে মামলাটি।