ঢাকা ১২ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রতিচ্ছবি যেন মানিকগঞ্জের রিতা ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৭ তিন খাতে বরাদ্দ বন্ধ করে দিল সরকার বন্যাদুর্গত এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, বন্ধ মোবাইল নেটওয়ার্ক মাদরাসা বোর্ডে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল এসএসসিতে এবার প্রকৃত পাসের হার পাওয়া গেছে: এহসানুল কবীর এসএসসির ফল প্রকাশ: ১৩৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাস করেনি কেউ এসএসসি ও সমমানে পাসের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ স্ত্রীকে খুন করে ১১ টুকরো করে গ্রিল কেটে পালালেন স্বামী

ভাত খেয়েও সম্ভব ওজন নিয়ন্ত্রণ

#

লাইফস্টাইল ডেস্ক

০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২,  12:29 PM

news image

শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরানো কিংবা ওজন কমানোর দিকে নজর দিলেই সবার আগে খাবার তালিকা থেকে বাদ পড়ে ভাত। কিন্তু আমরা ভেতো বাঙালি, ভাত ছাড়া কি চলে? তবে জানেন কি, ভাত খেলে মেদ জমার যে ধারণা রয়েছে সেটিও ঠিক নয়। ভাত যদি নিয়ম মেনে খাওয়া যায়, তাহলে তা থেকে শরীরে মেদ জমে না তেমন। গবেষণা বলছে দু-বেলা ভাত খেয়েও ওজন কমানো সম্ভব। শুধু কয়েকটা নিয়ম মানলেই কেল্লাফতে। তাহলেই আর বাদ দিতে হবে না ভাত। জেনে নেওয়া যাক নিয়মগুলো।

১. ডায়েটে একটা নির্দিষ্ট মাপের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে খাওয়া। সেটা হতে পারে এক কাপ কিংবা দেড় কাপ। যেটুকু ভাত খাবেন, ঠিক সমপরিমাণ কাঁচা সবজির সালাদ খেতে হবে। এই সালাদে শশা, টমেটো, বাঁধাকপি, গাজর রাখতে পারেন।

২. অল্প পরিমাণে ভাত খেলেই চলবে না, শরীর সুস্থ রাখার জন্য দরকার ব্যায়ামও। বিশেষ কোনও এক্সারসাইজ নয় তবে শুরু করতে পারেন পুশ আপ, স্কোয়াট, লাঞ্জ জাতীয় ব্যায়াম দিয়ে।

৩. নিয়মিত পরিমাণমতো ভাত খাওয়ার পরপরই শুয়ে ঘুমিয়ে পড়া যাবে না। দুপুর বা রাতে ভাত খাওয়ার আধা ঘণ্টা পর ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করে নিতে হবে।

৪. দিনের বেলায় ভাত খান, রাতে খেলেও সামান্য। দিলের বেলা মেটাবলিজমের হার থাকে বেশি। ফলে হজম হয় তাড়াতাড়ি। সাদা ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হওয়া সত্ত্বেও তা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায় না।

৫. ভাতের সঙ্গে আলু, বা আলুর তরকারি বাদ দিয়ে এর বদলে বেশি পরিমাণে টাটকা সবজি ও শাক খেতে হবে। ডালও রাখতে পারেন। তবে ভাজাভুজি খাবেন না।

৬. বড় প্লেটে নয়, ছোট বাটিতে ভাত খাওয়া ভাল। যারা বেশি ভাত খান, তারা চামচে করে খান। চামচে ভাত উঠবে অল্প ও একটা সময়ের পরে খেতে ক্লান্তি জন্মাবে।

৭. ভাত যদি খেতেই হয়, তবে রাইস কুকারে রান্না করা ভাত বা বসাভাত খাওয়া যাবে না। হাঁড়িতে ভাত রান্না করে ফ্যান ঝড়িয়ে সেই ভাতই খেতে হবে।

৮. সাদা চালের পরিবর্তে লাল চালে ফাইবার বেশি, ক্যালরি কম। তাই লাল চালের ভাত খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

পুষ্টিবিদদের মতে, ভাতের মধ্যে সোডিয়াম, কোলেস্টেরল, গ্লুটেন ইত্যাদি ক্ষতিকর উপাদান থাকে না। চর্বি থাকেই না প্রায়। বিশেষ করে ট্রান্স ফ্যাট, যা খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা থাকে। স্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে না। বরং থাকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট বা স্টার্চ, শরীরকে শক্তি জোগাতে যার বিরাট ভূমিকা। ফাইবারের উপস্থিতিও পেটের সমস্যা কমাতে, ওজন-সুগার-রক্তচাপ বশে রাখতে যার ভূমিকা আছে। তাই ওজন বাড়ার চিন্তা ঝেড়ে ফেলে নিয়ম মেনে নিশ্চিন্তে ভাত খান। 

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম