বিচারক কামরুন্নাহারকে প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ নভেম্বর, ২০২১, 8:19 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ নভেম্বর, ২০২১, 8:19 PM
বিচারক কামরুন্নাহারকে প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি
ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে পুলিশকে মামলা না নেওয়ার পর্যবেক্ষণ দেওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারকে প্রত্যাহার করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। আজ রোববার (১৪ নভেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আইনমন্ত্রণালয়ের উপ সচিব (প্রশাসন-১) শেখ গোলাম মাহবুবের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭, ঢাকা এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) বেগম মোছা. কামরুন্নাহারকে বর্তমান কর্মস্থল হতে প্রত্যাহারপূর্বক আইন ও বিচার বিভাগের সংযুক্ত করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো। এর আগে সকালে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই বিচারককে বিচারিক কাজ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি আইনমন্ত্রণালয়কে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলে। গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) একটি ধর্ষণ মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে খালাস দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, মামলার দুই ভিকটিম আগে থেকেই সেক্সুয়াল কাজে অভ্যস্ত। তারা স্বেচ্ছায় হোটেলে গেছেন। সেখানে গিয়ে সুইমিং করেছেন। ঘটনার ৩৮ দিন পর তারা বললেন, ‘আমরা ধর্ষণের শিকার হয়েছি।’ অহেতুক তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। এতে আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া এরপর থেকে ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ মামলা করতে যায় তা না নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।’ধর্ষণ মামলা নিয়ে বিচারকের এমন মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিচারকের বিবেচনা বোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে প্রতিক্রিয়া জানান। শনিবার এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিচারকের বক্তব্য বেআইনি এবং অসাংবিধানিক। এ কারণে প্রধান বিচারপতির কাছে বিচারক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেয়া হয় সেজন্য একটা চিঠি লিখছি।