বিএনপি অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতায় যেতে চায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ ডিসেম্বর, ২০২২, 11:07 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ ডিসেম্বর, ২০২২, 11:07 PM
বিএনপি অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতায় যেতে চায়
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ বিভাগের মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে নৈরাজ্য-নাশকতা-বিশৃঙ্খলা: উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান বাধা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান এর সভাপতিত্বে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টুর সঞ্চালনায় বক্তব্য প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এমিরেটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী এবং আলোচনা অংশগ্রহণ করে মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন শিক্ষা সাবেক সচিব ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী অনুষদের সাবেক ডিন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া। জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান এমপি, অধ্যাপক ড. বিল্লাল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক ড. বিমান বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক ড. রফিক শাহরিয়ার, অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, সাবেক প্রক্টর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রেহান সোবাহান, যুগ্ম সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, খন্দকার নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, এস এম লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-প্রচার সম্পাদক এইচ এম মেহেদী হাসান প্রমুখ। আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূইয়া বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন আসে। কিন্তু বিএনপি অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতায় যেতে চায়। বেশ কিছুদিন যাবৎ তারা অপপ্রচার করছে বাংলাদেশ শ্রীলংকা হবে। সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসে বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রীলংকা হওয়ার কোন লক্ষন নেই, আর বাংলাদেশ শ্রীলংকা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ১৫ ও ২১ শে আগস্ট যারা ঘটিয়েছে, সেই মূল ঘাতকদের তদন্ত কমিশন গঠন করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার। শফিকুর রহমান এমপি বলেন, বিএনপি ভয়াবহ নাশকতা করতে পারে, নয়াপল্টনে জনসভা ডাকার দুরভিসন্ধি রয়েছে। তারা কৌশলে বেগম খালেদা জিয়াকে জনসভায় এনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। মোঃ নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের তথ্য বিদেশে পাচার করা নিন্দনীয় ও দেশবিরোধী কাজ। বিএনপি বারবার বিদেশীদের কাছে ধরনা দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, যে কোন হত্যাকান্ড মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। কিন্তু বিএনপি ও এদেশের স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির পিতার হত্যা, শিশু রাসেল হত্যা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানের মতো জনপ্রিয় নেত্রীকে হত্যা করে তারা এদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। বিএনপি তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করেছে। তারা এখন আবার তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চায় বা জাতীয় সরকার ব্যবস্থা চায়। এটা কোনদিনই আর সম্ভব নয়। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, জাতি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বিনির্মানের রূপকার। শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশ আজ নিরাপদ। তিনিই সফল রাষ্ট্রনায়ক। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, ফার্মেসী বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. শাহেদ ইমরান, বাকশাল মহাসচিব কাজী মো. জহিরুল কাইয়ুম এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা উপস্তিত হয়। সভা শেষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি, প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবী ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সদস্য ডা. এস এ মালেকের আশু সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। প্রসঙ্গত তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।