বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মুকুল চৌধুরী, যার শৈশব শুরু আ’লীগের মধ্যে দিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ জুন, ২০২৩, 4:03 PM

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ জুন, ২০২৩, 4:03 PM

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মুকুল চৌধুরী, যার শৈশব শুরু আ’লীগের মধ্যে দিয়ে
রাজধানীর মিরপুর নিকটবর্তী ঢাকা (১৪) আসন অন্তর্গত কাউন্দিয়া ইউনিয়নের একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ বুকে ধারণ করে। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একাধারে একজন রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী। তিনি একজন স্বনামখ্যাত মানুষ কবির চৌধুরী মুকুল। জানা যায় বাবা মরহুম জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, মাতা-আরজেনা বেগম, তাদের ঘর আলোকিত করে ১১/০৮/১৯৭৫ইং সালে জন্মগ্রহণ করেন কবির চৌধুরী মুকুল। তারা তিন ভাই এক বোন তাদের মধ্যে মুকুল চৌধুরী মেজো। যার শৈশব শুরু হয় আওয়ামী লীগের মধ্যে দিয়ে। তার মামা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খান মিন্টু সাবেক কাউন্সিলর ০৮নং ওয়ার্ড তৎকালীন মিরপুর থানা। বর্তমানে ঢাকা (১৪) আসনের সংসদ সদস্য। মুকুল চৌধুরী মিরপুর সিদ্ধান্ত হাই স্কুল থেকে এসএসসি। মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজ থেকে এইচএসসি মিরপুর কলেজ থেকে ডিগ্রি শেষ করেন। ছাত্র অবস্থায় তিনি ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলেন। বৃহত্তর মিরপুর থানা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। সরকারি বাংলা কলেজ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, মিরপুর কলেজ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে ছিলেন। বর্তমানে তিনি কাউন্দিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সিনিয়র ১নং যুগ্মসাধারণ সম্পাদক। সভাপতি কাউন্দিয়া শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় সাভার ঢাকা। প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ছাত্রলীগ কাউন্দিয়া ইউনিয়ন শাখা। সাবেক সভাপতি গোয়ালবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাভার ঢাকা। প্রতিষ্ঠাতা. এবিসি কিন্ডারগার্ডেন স্কুল ঢাকা। উপদেষ্টা, মানবধ্বনি (সামাজিক কল্যাণ সংগঠন)। উপদেষ্টা, গোল্ডেন বয়েজ ক্রিকেট একাডেমী, দারুস সালাম, ঢাকা। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: দারুস সালাম স্পোর্টিং ক্লাব। রাজনীতির পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যবসায়িক হিসেবে আছেন। কাউন্দিয়া ইউনিয়নে সরেজমিনে জানা যায় ন্যায়বিচারক, যুব সমাজের অহংকার, মুরুব্বীদের বিশ্বস্ত আস্থাভাজন হিসেবে সকলের পরিচিত মুখ কবির চৌধুরী মুকুল। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কাউন্দিয়া ইউনিয়নের এক মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের যে কোনো কর্মসূচিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাহসী ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমেও রয়েছে মুকুল চৌধুরীর নাম। তিনি একজন ভালো মনের মানুষ তাই তার জন্য সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি। কাউন্দিয়া শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা বলেন মুকুল চৌধুরী কাউন্দিয়া ইউনিয়নে শিক্ষার মানোন্নয়নেও তার রয়েছে অগ্রণী ভূমিকা। কাউন্দিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবু তালের বলেন কবির চৌধুরী মুকুল সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন। তিনি সদা কর্মচঞ্চল, মানবদরদি ও দানশীল ব্যক্তিত্ব। সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। কাউন্দিয়া ইউনিয়নে যদি কেউ এমন কোনো আদর্শবান রাজনীতিবিদ কিংবা সমাজসেবীর নাম বলতে চান তাহলে নিঃসন্দেহে তার নাম বলতে হবে। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্যের হাত বাড়ানো এবং অসহায় মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে একজন জনগণের বন্ধু হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। অসম্ভব মেধা, প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস ও সময়োপযোগী কর্মোদ্যগের মাধ্যমে তিনি সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। একান্ত সাক্ষাৎকালে মুকুল চৌধুরী বলেন, শৈশব থেকেই আমার শ্রদ্ধেয় মামা বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খান মিন্টু বর্তমান ঢাকা (১৪) আসনের সংসদ সদস্য তার মুখ থেকে বিভিন্ন সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে. বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে গল্প শুনে তারই প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করেছি। তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিজেকে নিয়োজিত রাখা ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার এবং জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে সহায়তা এবং একটি সত্যিকারের সুন্দর সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণের কাজ করতে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ তিনি আরো বলেন, ২০বছর আগের বাংলাদেশ আর ২০ বছর পরের এখনকার বাংলাদেশ পুরোটাই আলাদা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে, আরো এগিয়ে যাবে। এখন আমাদের সন্তানদের সার্টিফিকেটে পিতার নামের পাশাপাশি মাতার নামও থাকে। নারীদের এই সম্মান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অসহায় মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। নতুন প্রজন্মের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। কাউন্দিয়া ইউনিয়নে মাদকের বিরুদ্ধে আপনার কি অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন। মাদক আমাদের এবং প্রশাসনের একার পক্ষে নির্মূল করা সম্ভব নয় অভিভাবকদের সন্তান কোথায় যায় কি করে কাদের সঙ্গে মিশে এটি দেখাও অভিভাবকদের প্রয়োজন। সর্বোপরি তিনি বলেন শুধু বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসলেই হবে না জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তার আদর্শ বুকে ধারণ করে সকলকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।