বলিউডের স্বজনপ্রীতি নিয়ে মুখ খুললেন ফারাহ খান
বিনোদন ডেস্ক
০১ নভেম্বর, ২০২৫, 11:13 AM
বিনোদন ডেস্ক
০১ নভেম্বর, ২০২৫, 11:13 AM
বলিউডের স্বজনপ্রীতি নিয়ে মুখ খুললেন ফারাহ খান
বলিউডের খ্যাতনামা পরিচালক ও কোরিওগ্রাফার ফারাহ খান এবার মুখ খুলেছেন বলিউডে প্রচলিত স্বজনপ্রীতি ও দ্বিচারিতা নিয়ে। তিনি বলেছেন, ইন্ডাস্ট্রিতে বাইরের মানুষের আর্থিক ও মানসিক সংগ্রাম তিনি গভীরভাবে বুঝতে পারেন। সম্প্রতি সানিয়া মির্জার পডকাস্টে অতিথি হয়ে ফারাহ খান বলেন, বলিউডে তারকাদের সন্তানদের অভিজ্ঞতা ও বাইরের থেকে এসে নিজের জায়গা তৈরি করতে চাওয়া শিল্পীদের বাস্তবতার মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে।
‘নেপো বেবিদের প্রতি ক্ষোভ আমি বুঝি’
৬০ বছর বয়সী এই নির্মাতা স্পষ্ট ভাষায় বলেন, যারা মুম্বাইয়ে বাইরে থেকে আসে, তাদের নেপো বেবিদের প্রতি রাগ আমি পুরোপুরি বুঝি। তারা মাসে মাসে ভাড়া জোগাড় করতে হিমশিম খায়। তাদের কাছে তারকাসন্তানদের সংগ্রাম খুবই তুচ্ছ মনে হয়।
ফারাহর এই বক্তব্য আবারও আলোচনায় এনেছে বলিউডে প্রভাব, সম্পর্ক ও প্রিভিলেজের আধিপত্যের বিষয়টি—যা ন্যায়বিচার ও সুযোগের সমতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক সৃষ্টি করে আসছে।
অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা এখনো তাড়িয়ে বেড়ায়
আলোচনায় ফারাহ নিজের জীবনের আর্থিক অনিশ্চয়তা নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন। তিনি বলেন, আজও আমি টাকার ব্যাপারে অনিরাপদ বোধ করি। আর্থিকভাবে সুরক্ষিত না হলে আমি আরাম করতে পারি না—এটাই আমার একমাত্র ভয়। আমরা দেখেছি, আমাদের বাবা অনেক ধনী অবস্থা থেকে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন। বহু বছর আমরা হাতেমুখে বেঁচেছি।
‘ম্যায় হুঁ না’ খ্যাত এই পরিচালক বলেন, সেই অভিজ্ঞতাই তাকে এখনো কঠোর পরিশ্রমে অনুপ্রাণিত করে এবং সাফল্যকে কখনোই তিনি নিশ্চয়তা হিসেবে নেন না।
‘এখন সবাই সংগ্রামের গল্প বলতে চায়’
বর্তমান প্রজন্মের ‘সংগ্রামের গল্প’ নিয়ে কটাক্ষ করে ফারাহ বলেন, এখন সবাই একটা সংগ্রামের গল্প বানাতে চায়, যদিও অনেকের জীবনে তেমন সংগ্রাম ছিল না। তবে তিনি এটাও যোগ করেন, আমি খুশি যে আমার সন্তানদের এই ভান করতে হবে না। সত্যবাদী থাকা ভুয়া সংগ্রামের গল্প বলার চেয়ে ভালো।
২০০৪ সালে পরিচালক শিরিষ কুন্দরকে বিয়ে করেন ফারাহ খান। তাদের তিন সন্তান—ছেলে জার এবং মেয়ে দিবা ও আন্যা—২০০৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্মগ্রহণ করে।
চলচ্চিত্রের বাইরে ফারাহ এখন ডিজিটাল জগতে সক্রিয়। তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রাঁধুনি দিলীপকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত রান্নার ভ্লগ করেন। এছাড়া বলিউডের তারকা বন্ধুদের বাসায় গিয়ে মজার রান্নার সেশন ও আড্ডা দিয়ে তিনি অনলাইনে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।