পার্থিব মোহ যেসব বিপদের কারণ
২৯ অক্টোবর, ২০২৪, 10:54 AM
NL24 News
২৯ অক্টোবর, ২০২৪, 10:54 AM
পার্থিব মোহ যেসব বিপদের কারণ
পার্থিব জীবনের মোহ সম্পর্কে সতর্ক করে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মানুষ! নিশ্চয়ই আল্লাহর অঙ্গীকার সত্য। সুতরাং পার্থিব জীবন যেন তোমাদের ধোঁকায় না ফেলে।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ৫)
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘আমি আমার পরে তোমাদের জন্য যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ভয় করি তা হলো দুনিয়ার চাকচিক্য ও তার সৌন্দর্য, যা তোমাদের ওপর উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।’(সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৪৬৫)
বুজুর্গদের চোখে পার্থিব জীবন : কোরআন-হাদিসের নির্দেশনার কারণে বুজুর্গরা পৃথিবীর ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতেন এবং অন্যকেও সতর্ক করতেন।
এখানে তাঁদের কয়েকজনের মতামত তুলে ধরা হলো।
১. অসম্মানের কারণ : ইবনে হানাফি (রহ.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার নিজের ওপর তার প্রবৃত্তিকে প্রাধান্য দেবে সে দুনিয়াতে অপমানিত হবে।’ (ইকদুল ফারিদ : ৪/২৫৬)
২. শান্তির জায়গা নয় : আলী (রা.)-কে বলা হলো, আমাদের দুনিয়ার পরিচয় বলে দিন? তিনি বলেন, ‘আমি দুনিয়ার কী বৈশিষ্ট্য বলব? তার শুরু হয় কষ্ট-ক্লেশ দিয়ে এবং শেষ হয় ধ্বংসের মধ্য দিয়ে। তার হালালগুলো হিসাবযোগ্য আর হারামগুলো শাস্তিযোগ্য।
যে ব্যক্তি তাতে সম্পদশালী হয় সে প্রলুব্ধ হয় আর যারা দরিদ্র হয় তারা চিন্তাযুক্ত হয়।’ (তাসাললিয়াতুল মাসয়িব : ১/৩১১)
৩. পরিত্যাগ করলেই প্রশান্তি : ইবনুল কায়্যিম জাওজি (রহ.) বলেন, ‘দুনিয়া হলো চরিত্রহীন স্ত্রীর মতো, যে একজন স্বামীর সহচর্যে সন্তুষ্ট থাকে না। নিশ্চয়ই সে বহু স্বামীকে তার সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট করে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সুতরাং তুমি শুধু তা পরিত্যাগ করো, তাহলেই খুশি থাকবে।’
(আল ফাওয়ায়িদ : ১/৪৩)
৪. পরকালের পথে অন্তরায় : ইবনুল কায়্যিম জাওজি (রহ.) বলেন, ‘বান্দার দুনিয়ার প্রতি আকাঙ্ক্ষা ও সন্তুষ্টির পরিমাণ অনুসারে মহান আল্লাহর অনুগত্যে ও আখিরাতের কাজে তার অলসতা সৃষ্টি হয়। সুতরাং দুনিয়াকে পরিত্যাগ করো তার অনুসারীদের জন্য যেরূপ তারা (দুনিয়াদাররা) আখিরাতকে পরিত্যাগ করেছে তার অনুসারীদের জন্য।’
(আল ফাওয়ায়িদ : ১/১০০)
৫. ধ্বংসের কারণ : হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তোমার দ্বিনের ব্যাপারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা তাকে প্রকৃত একজন প্রতিদ্বন্দ্বী বানায়। আর যে তোমার দুনিয়ার ব্যাপারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা তাকে প্রকৃত অর্থে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়।’ (ইহইয়াউ উলুমুদ্দিন : ৩/২০৭)