নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হোক: জামায়াত আমির
নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫, 1:52 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫, 1:52 PM
নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হোক: জামায়াত আমির
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের নির্ধারিত সময়েই হোক-এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হোক, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী।’ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায়ের পর ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত শেষে তিনি এ কথা জানান। জামায়াত আমির বলেন, ‘হাদির দুশমনেরা কার্যত বাংলাদেশেরই দুশমন। কারণ হাদিরা বাংলাদেশের পক্ষে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের পক্ষে ছিল। হাদিরা আপন সংস্কৃতির কথা বলতো। হাদিদের উচ্চারণ ছিল অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে। বিপ্লবীদের খুন করে বিপ্লবের চেতনা দমানো যায় না।’
তিনি বলেন, ‘হাদিরা কোটি তরুণের প্রাণে দ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এই দেশ এই জাতি আমাদের। দেশ ও জাতির পাহারাদারও আমাদের করতে হবে। কোনো কালো চিলকে আমাদের ভাগ্যে ছোঁ মারার সুযোগ আর দেব না। এটা ছিল তাদের অঙ্গীকার। তারা বলেছিল জীবন দিবো তবুও চব্বিশ দেবো না, এটা কেন বলেছিল আমরা সবাই বুঝি। এটাই তাদের অপরাধ।’ এ সময় যারা বিল্পবী তাদের খুন করে বিপ্লবের চেতনাকে খুন করা যায় না, বরং সেই চেতনা আরও ছড়িয়ে পড়ে বলে মন্তব্য করেন জামায়াত আমির। তিনি আরও বলেন, ‘হাদির হত্যাকারীদের বিচারে সরকার এখন পর্যন্ত যা করেছে, তাতে জনগণ সন্তুষ্ট নয়।
অতি দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং আইনের আওতায় আনতে হবে। যদি খুনিরা পার পেয়ে যায়, তাহলে আপনার আমার কারও জীবনই নিরাপদ বলা যায় না।’ নির্বাচন প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হোক, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এই লক্ষ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবো। মূল কথা হলো নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে যেন অন্য কিছু চিন্তা না করা হয়।’
জামায়াতের আমিরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মো. মোবারক হোসাইন, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফারহাদ প্রমুখ।