ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
আওয়ামী লীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডলের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর আগস্টে সড়কে ঝরেছে ৪৭৬ প্রাণ: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ৬ সংস্কার কমিশনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ২৯ লাখ টাকা দিলো ইসি ট্রাফিক সমস্যা ও চাঁদাবাজি বন্ধে ডিএমপিকে একগুচ্ছ নির্দেশনা ঢাবি ও জাবিতে দু’জনকে পিটিয়ে হত্যা, যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশকে ২ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক ঢাবির হলে চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যা যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে যেসব কারণে দাম কমছে না ইলিশের

নারীরা সহযোদ্ধা-সহযোগী, বিশ্বাস রাখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ ডিসেম্বর, ২০২১,  1:17 PM

news image

নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে আইন থাকলেও মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নারীদের ভোগের বস্তু হিসেবে দেখার সুযোগ নেই, দেখতে হবে সহযোদ্ধা হিসেবে।’ আজ বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব থেকে যেটা বেশি পীড়াদায়ক সেটা হল মেয়েদের ওপর সহিংসতা। যদিও আমরা আইন করে দিয়েছি। ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইন করে দিয়েছি, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইন করেছি। পারিবারিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আইন করে দিয়েছি।’ নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে আইনি কাঠামো যথেষ্ট নয় জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘শুধু আইন করলে হবে না। মানসিকতাটা বদলাতে হবে। চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন আনতে হবে। বিশ্বাসটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় জিনিস। বিশ্বাসটা করতে হবে। নারীরা শুধু ভোগের বস্তু না, নারীরা সহযোদ্ধা। নারীরা সহযোগী, সহযাত্রায় চলতে হবে। সমান অধিকার দিতে হবে।’ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবখানে নারী পুরুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়ায় দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। প্রমীলা ফুটবল দল গঠন করতে গিয়ে বাধার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই অচলায়তন ভেঙে একবার যেতে পারলে আর কোনো বাধা আসবে না। আমাদের ইসলাম ধর্মে তো মেয়েদের অধিকার দেয়াই আছে। সেখানেই তো সমঅধিকারের কথা বলা আছে, কিন্তু তারপরেও আমাদের দেশে কিছু তো এ ধরনের বাধা আসে, আসবেই। সেই বাধা অতিক্রম করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’ সন্তানের পরিচয়ে মায়ের নাম যুক্ত করতে তার সরকারের নেয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্তানের পরিচয়, সেখানে মায়ের নাম লেখা থাকত না। যে মা সন্তান ধারণ করে, জন্ম দেয়, সেই মায়ের নামটা থাকবে না, এটা কেমন হল কথা? এক্ষেত্রেও আমি ব্যবস্থাটা করে দিই।’ এ প্রসঙ্গে বেগম রোকেয়াকে উদ্ধৃত করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “‘নর ও নারী উভয় মিলিয়ে একই বস্তু হয়। তাই একটিকে ছাড়িয়া অপরটি সম্পূর্ণ উন্নতি লাভ করিতে পারিবে না।’ কত গভীরভাবে তিনি চিন্তা করেছিলেন সেই যুগে একবার ভেবে দেখুন। আমরা এখন সেটাই মনে করি।” বেগম রোকেয়া যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার অনেকটা পূরণ হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশটা এগিয়ে যাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে, বিমান-হেলিকপ্টার এখন নারীরা চালাচ্ছে। আমাদের ট্রুপার আছে। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে আমাদের নারী অফিসার, পুলিশ, সেনা ও বিমানবাহিনীর মেয়েরা অত্যন্ত চমৎকার কাজ করছে। তাদের চাহিদাও বেড়ে যাচ্ছে। পুরুষরা যেটা পারে নারীরা তার চেয়ে আরও ভালো পারে-এতে কোনো সন্দেহ নেই।’ এসময় ঠাট্টার ছলে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি বেশি বলব না। কারণ দেখা যাবে পুরুষরা শেষে…আমার ভোট না কমে যায়। সেদিকে আবার লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ আমাকে ইলেকশন করে আসতে হয়। আমার সবদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। ‘পুরুষশাসিত সমাজ আমরা বলি, কিন্তু মেয়েদের ছাড়া কী পুরুষ চলতে পারে? পারে না। মায়ের পেটে জন্ম নিতে হবে। বোনের হাত ধরে হাঁটা শিখে বড় হয়ে স্ত্রীর ওপর নির্ভরশীল থাকে। বৃদ্ধ হলে কন্যাসন্তানই বেশি দেখে, সে যত্ন নেয় বেশি।’ তিনি বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান জ্ঞানসম্পন্ন একটি জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে গড়তে চাই। আমাদের দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। ইনশাল্লাহ, জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবেই গড়ে তুলতে পারব। সেই আশা আমি পোষণ করি।’

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম