নতুন পাঠ্যবইয়ে ৩০টির বেশি ভুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ জানুয়ারি, ২০২২, 8:22 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ জানুয়ারি, ২০২২, 8:22 PM
নতুন পাঠ্যবইয়ে ৩০টির বেশি ভুল
ভুল থেকে শিক্ষা নেয়নি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এবারও মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে রয়ে গেছে অজস্র ভুল। অনুসন্ধানে ৭টি বইয়ে মিলেছে, ৩০টির মতো তথ্য বিভ্রাট। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তো বটেই, সংবিধান নিয়েও ভুল তথ্য রয়েছে এতে। গেল বছর পাঠ্যবইয়ের ভুল সংশোধনে হস্তক্ষেপ করতে হয় হাইকোর্টকে। তখন এনসিটিবি জানায়, আগামীতে এসব আর হবে না। আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও।
তবে ২০২২ সালে বিতরণ করা বইয়ে অন্তত ৩০টির বেশি ভুল খুঁজে পেয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ের ১০ম পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে বাঙালি। আসলে হবে, ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে। সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের ১৪ পৃষ্ঠায় ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের যে ছবি দেয়া হয়েছে সেটি ওই রাতের নয়। ৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা বইয়ের ১৯৬ পৃষ্ঠায় রয়েছে, মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহিদদের স্মৃতি চির জাগরুক রাখতে, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ স্থাপিত হয় শিখা চিরন্তন। কিন্তু সঠিক তথ্য হলো ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের স্থান ও ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানকে জাগরুক রাখতেই শিখা চিরন্তন স্থাপিত হয়। অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের ২০ পৃষ্ঠার বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও পদাধিকার বলে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। কিন্তু পদাধিকার বলে নয়; স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুযায়ীই তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন। ৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের ২৮তম পৃষ্ঠায় লেখা রয়েছে, জেনারেল এরশাদের ৭ম সংশোধনী ও ত্রয়োদশ সংশোধনী সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছে। অথচ ত্রয়োদশ সংশোধনী হয় খালেদা জিয়ার আমলে। একই বইয়ের ১২ পৃষ্ঠায় সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের সময় দেয়া ২০০৮ সালে। অথচ এটি হবে ২০০৯ সালে। এছাড়া ২০৬ পৃষ্ঠায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচনে মহিলা আসনসহ আওয়ামী লীগের আসন দেখানো হয়েছে ৩০৬টি। আসলে হবে ৩০৮টি। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো অষ্টম শ্রেণির সৃজনশীল বইয়ের ১২৮ পৃষ্ঠায় দেখানো হয়েছে দোয়েল পাখি বাসা বেঁধেছে জবা গাছে। অথচ দোয়েল কখনই জবা গাছে বাসা বাঁধে না। এত এত ভুল পাওয়ার পর এনসিটিবির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বললেন, তারা এখনও সব ভুলে বের করতে পারেননি। এ নিয়ে আগামী সপ্তাহে কাজ শুরু করবেন। কুসুম কুমারী দাশের বিখ্যাত কবিতা আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কবিতার একটি শব্দ এদিক-ওদিক করে এর আগে ৬ জন শাস্তির মুখোমুখি হয়েছিলেন। সূত্র: চ্যানেল 24