
নিজস্ব প্রতিনিধি
২৮ জুলাই, ২০২৫, 5:05 PM
দৌলতখান উপজেলার কৃষি অফিসার হুমায়রা সিদ্দিকার বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ
ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার কৃষি অফিসার হুমায়রা সিদ্দিকা গত ২ জানুয়ারী ’২২ দৌলতখান উপজেলায় যোগদান করে ফ্যাসিষ্ট সরকারের লোকজনের সাথে আঁতাত করে দুর্নীতি ও অপকর্মের মাধ্যমে বহাল তবিয়তে আছেন। সরকার কর্তৃক ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রনোদনার সার ও বীজ ভূয়া বিল ভাউচার করে কৃষি অফিসার হুমায়রা সিদ্দিকা আত্মসাত করেছেন বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন তার অফিসের প্রধান উচ্চমান সহকারী রেজাউল করিম ও অফিসের কর্মচারী হিমাংসু চন্দ্র দেবনাথ। সে উপজেলায় যোগদানের পরপরই সরকারের আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে তছনছ শুরু করে। অফিসের কর্মরত অফিসারদের নাজেহাল ও বিভিন্ন কারণে অকারনে কোনঠাসা করেন।
কথায় কথায় তৎকালীন এমপি আলী আজম মুকুলের দোহাই দিয়ে সবাইকে দামিয়ে রাখেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জরিপে প্রনোদনার মৌসুমের আঠাশ ধানের বীজ ১০০০০ কেজি (১০ টন) বীজ মেসার্স মিজান ট্রেডার্স এর নামে বিল করে ৫,০০,০০০ টাকা আত্মসাৎ করেন এবং একই অর্থবছরে জরিপে মোট আমন ধানের বীজ ৪০২০ কেজি (৪.২ টন) একই মিজান ট্রেডার্সের নামে ভূয়া বিল চালান করে ২,২১,১০০ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, দৌলতখান উপজেলায় মেসার্স মিজান ট্রেডার্স নামে বীজের দোকানই নেই। অভিযোগ রয়েছে, আত্মসাতের এ কাজে কৃষি অফিসারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন অফিসের রেজাউল করিম ও কর্মচারী হিমাংসু দেবনাথ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় সমবায় চাষাবাদ দৌলতখান কলাকোপ ব্লক প্রদর্শনে কৃষকের জন্য ১২,৮৮,০০০ টাকা সরকারের রাজস্ব খাত থেকে বরাদ্দ দেন।
উক্ত প্রণোদনায় কৃষককে বীজ উৎপাদন করার জন্য ৫০ একর এর জন্য ৪৫০০ টি বীজ উৎপাদন বাবদ ৫৪০,০০০ টাকা ভূয়া বিল বাউচার করে আত্মসাৎ করেছেন। দৌলতখান উপজেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদেরকে উদ্ধুদ্ধ করার জন্য মাঠ দিবস প্রদান করা হয়। কোন কোন মাঠ দিবসের জন্য ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা বরাদ্ধ প্রদান করা হয়। কিন্তু হুমায়রা সিদ্দিকা সকল মাঠ দিবস বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ১টি মাঠ দিবসে একাধিক ব্যানার টানিয়ে সে অন্যান্য মাঠ দিবসের টাকা আত্মসাৎ করেন। এতে করে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ছে এবং সরকারী টাকা তার পকেটে চলে যায়। দৌলতখান উপজেলার কৃষি অফিসার হুমায়রা সিদ্দিকার বিরুদ্ধে আরও গুরুতর দুর্নীতির একাধিক অভিযোগের দাপ্তরিক তথ্য প্রমান রয়েছে এ প্রতিবেদকের হাতে। যা সমীক্ষান্তে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে।