ঢাকা ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
৩ ঘণ্টার চেষ্টায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই মিলেমিশে বসবাস করবে বড়দিন ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: সিটিটিসি প্রধান সাংবাদিক রতন সরকার স্মৃতি সম্মাননা পেলেন রুশমী আক্তার ঢাকা মহানগরকে হারিয়ে এনসিএল চ্যাম্পিয়ন রংপুর আড়াইহাজারে নসিমনের ধাক্কায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত রেলের নানা রকম সংকট আছে: রেল উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন নিয়ে অধৈর্য: উপদেষ্টা আসিফ পদ্মা ব্যাংককে একীভূত না করার সিদ্ধান্ত এক্সিম ব্যাংকের শীতের সকালে করলার রস কেন খাবেন

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ মার্চ, ২০২২,  3:01 PM

news image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। সরকার দুর্যোগ মোকাবেলার লক্ষ্যে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে দুর্যোগে প্রাণহানি এক ডিজিটে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ)‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২২’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় দেশব্যাপী ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-উদযাপিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এবারের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের সফলতা, দুর্যোগ প্রস্তুতিতে গতিশীলতা’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের দুর্যোগ নিয়ে পূর্বপ্রস্তুতি ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে দুর্যোগে প্রাণহানি এক ডিজিটে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় চিরাচরিত ‘দুর্যোগ পরবর্তী সাড়াদান ব্যবস্থাপনা’ থেকে ‘আগাম ব্যবস্থাপনা’ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে এনেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কর্মসূচি প্রণয়নের পথিকৃৎ। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)। বঙ্গবন্ধু ঘূর্ণিঝড় থেকে জনগণের জানমাল রক্ষায় সেই সময় ১৭২টি উঁচু মাটির কিল্লা তৈরি করেন যা পরবর্তীকালে জনগণ ‘মুজিব কিল্লা’ নামকরণ করে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের সময়ে ‘মুজিব কিল্লা’কে সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করে মানব ও প্রাণিসম্পদের জন্য নিরাপদ ও টেকসই আশ্রয়স্থল করা হয়েছে। একইভাবে পুরুষের সাথে নারী স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্ত করে আধুনিক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী ও গতিশীল করা হয়েছে। দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ব্যবস্থাপনায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জেন্ডার রেসপনসিভ ক্যাটাগরিতে ঘূর্ণিঝড়ে প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)-তে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্মানসূচক জাতিসংঘ জনসেবা পদক-২০২১ অর্জন করেছে।’ দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে দেশের ঘূর্ণিঝড়প্রবণ উপকূলীয় এলাকায় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং বন্যাপ্রবণ ও নদীভাঙ্গন এলাকায় টেকসই ও আধুনিক বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও মেরামত এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ক্রমবর্ধমান হারে গৃহীত প্রকল্প, গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মি দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প, ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগ উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, বজ্রপাত নিরোধক কর্মসূচি, গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কর্মসূচি ইত্যাদি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগের আগাম সতর্কতা ও দৈনন্দিন আবহাওয়া বার্তা জানতে মোবাইলে ১০৯০ (টোল ফ্রি) আইভিআর পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ফলে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, বজ্রপাত, শৈত্যপ্রবাহ ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে পূর্বপ্রস্তুুতি গ্রহণপূর্বক জনগণকে সুরক্ষিত করে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার পাশাপাশি সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের জন্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এখন রোল মডেল।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিকভাবে দুর্যোগপ্রবণ দেশ এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও একটি শক্তিশালী ও কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সময়োপযোগী আইন, বিধি পরিকল্পনা, দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের ওপর গুরুত্বারোপ করে ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ প্রণয়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে ২০৪১ সালের মধ্যে দুর্যোগ সহনশীল, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সমর্থ হবো। প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুুতি দিবস-২০২২’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। সূত্র : বাসস।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম