ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
আওয়ামী লীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডলের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর আগস্টে সড়কে ঝরেছে ৪৭৬ প্রাণ: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ৬ সংস্কার কমিশনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ২৯ লাখ টাকা দিলো ইসি ট্রাফিক সমস্যা ও চাঁদাবাজি বন্ধে ডিএমপিকে একগুচ্ছ নির্দেশনা ঢাবি ও জাবিতে দু’জনকে পিটিয়ে হত্যা, যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশকে ২ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক ঢাবির হলে চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যা যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে যেসব কারণে দাম কমছে না ইলিশের

জয়পুরহাটে তীব্র খরায় আমন রোপন নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

১৭ জুলাই, ২০২২,  2:44 PM

news image

জয়পুরহাটে বৃষ্টির দেখা নেই বেশ কয়েকদিন থেকে। বৃষ্টি না থাকায় তীব্র গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন। শুধুই কি তাই! এর বড় প্রভাব পড়েছে কৃষকদের জমিতে। বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র রোদের প্রভাবে মাঠ একেবারে শুকিয়ে ফেটে চৌচির হয়ে পড়েছে। মনে হবে যেন কোন ধু-ধু চর। মাঠে পানি না থাকায় তাই কৃষকরা তাদের রোপা আমনের চারা রোপন করতে পারছেননা। দুই-এক এলাকায় গভীর নলকুপের মাধ্যমে সেচ দিয়ে চাষ শুরু হলেও বেশিরভাগ এলাকায় কৃষকরা রয়েছেন দুশ্চিতাই। বৃষ্টির আশায় প্রহর গুনছে তাদের। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিগত বছর গুলোতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় আষাঢ় মাসের মাঝিমাঝি সময় থেকেই কৃষকরা রোপা আমনের চারা রোপন করতে শুরু করে। তবে এবার বৃষ্টি না হওয়ায় শুকিয়ে গেছে পুরো মাঠ। তাই বৃষ্টি হবে এমন আশায় পিছিয়ে পড়েছে ধানের চাষ।

এদিকে নির্ধারিত সময়ে চাষ শুরু করতে না পারায় ধানের চারাগুলো বীজ তলাতেই বড় হয়ে যাচ্ছে। অনেক চারা আবার শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে যেন দুশ্চিন্তার শেষ নেই কৃষকদের। বৃষ্টি না হওয়ায় কয়েকটি এলাকায় আবার শ্যালো বা ডিপ (গভীর নলকুপ) চালু করা হয়েছে। সদর উপজেলার মীরগ্রাম এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠে চাষ করতে পারছিনা। এজন্য ধান রোপনের সময় অনেক পিছিয়ে পড়েছে। বীজতলাতে ধানের চারাগুলোও বড় হয়ে গেছে। কোমরগ্রামের এনামুল হক বলেন, বৃষ্টির আশায় থাকতে থাকতে ধানের চারাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই শনিবার থেকে আমাদের এলাকায় ডিপ (গভীর নলকুপ) চালু করা হয়েছে। একই গ্রামের রানা হোসেন বলেন, অনেক দিন থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় ধান রোপন নিয়ে অনেক দুশ্চিতাই ছিলাম। আজ থেকে ডিপ চালু হয়েছে। সেচ দিয়ে চাষ করার পর এখন ধান রোপন করতে পারবো। আক্কেলপুর  উপজেলার তিলকপুরের জাকির হোসেন সোহাগ বলেন, বৃষ্টির কারণে জমিতে ধান রোপন করতে পারছিনা। বৃষ্টির আশায় আছি। বৃষ্টি হলেই রোপন শুরু হবে। পাঁচবিবি উপজেলার বাঁশখুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ধানচাষে কয়েক বছরের চেয়ে খরচ অনেক বেড়েছে। কীটনাশক, শ্রমিক সব কিছুরই দাম অনেক বেশি। তার উপর আবার সেচের বাড়তি টাকা দিতে হবে এবার। 

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, জেলায় চলতি  মৌসুমে ৬৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আষাঢ় মাস শেষ হলেও আশানুরুপ বৃষ্টিপাত না হওয়ায়  রোপা আমন চাষে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এজন্য গভীর নলকুপের মাধ্যমে কৃষকদের সেচ দিতে বলা হচ্ছে। অনেক জায়গায় গভীর নলকুপ চালু করে কৃষকরা জমিতে সেচ দিয়ে চাষ শুরু করেছেন।


logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম