জয়পুরহাটে টিলারচালক এনামুল হক হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ নভেম্বর, ২০২২, 3:24 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ নভেম্বর, ২০২২, 3:24 PM
জয়পুরহাটে টিলারচালক এনামুল হক হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাট সদর উপজেলায় পাওয়ার টিলারচালক এনামুল হক (৪৭) হত্যার ১৭ বছর পর চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় খালাস দিয়েছেন তিনজনকে। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুর ইসলাম এ রায় দেন। এ সময় এক আসামি অনুপস্থিত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে দু্ইজন সম্পর্কে বাবা-ছেলে। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদশা ইউনিয়নের পণ্ডিতপুর গ্রামের রমজান আলী, তার দুই ছেলে রঞ্জু ও শাহীন ও রেজাউল ইসলামের ছেলে হান্নান। খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, একই এলাকার কোরবান আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর, সোলায়মান আলীর ছেলে আলীম ও মোস্তফার ছেলে শাহাদত ওরফে শাহাদুল। নিহত ব্যক্তি জয়পুরহাট সদর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের একমাত্র ছেলে এনামুল হক (৩০) মামলার সূত্র থেকে যায়,
২০০৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ওই গ্রামের এনামুল হক সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী বজরপুর গ্রামে ভগ্নীপতির বাড়িতে পাওয়ার টিলার নিতে যায়। পরে এনামুল হকের বাড়িতে পরের দিন সকালে পাওয়ার টিলার পৌঁছে দেবে বলে, তার ভগ্নীপতি আবু বকর ভাদসা বাজার পর্যন্ত এনামুল হককে এগিয়ে দিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যায়। কিন্ত রাতে আর এনামুল বাড়ি ফিরে নাই। এদিকে পরের দিন ৬ ফেব্রুয়ারি এনামুলের বাড়ির পাশে এক কৃষক দেখতে পান, চারজন লোক মাঠের মধ্যে কিছু ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছে। এ সময় কৃষক সেখানে গিয়ে আলুর খেতে দেখতে পান এনামুল হকের মরদেহ পড়ে আছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুরুল ইসলাম আকন্দ কুড়ানোর ছেলে রমজান আলীর নাম বাদ দিয়ে ২০০৫ সালের ৪ মে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ১৯ জনের সাক্ষ্য শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাবা-ছেলেসহ চারজনের যাবজ্জীবন। তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তাদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত আসামি রঞ্জু পলাতক রয়েছেন।