ঢাকা ০৫ জানুয়ারি, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সিরাজগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড ৫০ বিচারকের ভারতে যাওয়া বাতিল ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা সেনাসদস্যদের প্রস্তুত রাখতে হবে’ ৩ জেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ বাংলাদেশে তেল রিফাইনারি কারখানা করতে চায় সৌদি আরব ১১ দিন পর খুলে দেওয়া হলো সচিবালয়ের আগুন লাগা ভবন নাগেশ্বরীতে জনতার হাতে ভারতীয় গরু আটক বিয়ের আসর থেকে অলংকার নিয়ে পালালেন নববধূ আমার নাম ব্যবহার করে তদবির করা হলে তা বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই ভোটার হালনাগাদে অনিয়ম-অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না: ইসি

কারারক্ষী পদে নিয়োগ অনিয়মে কী ব্যবস্থা, জানতে চান হাইকোর্ট

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ নভেম্বর, ২০২২,  1:56 PM

news image

দেড়যুগ আগে কারারক্ষী পদে নিয়োগে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। কারা মহাপরিদর্শককে এক মাসের মধ্যে হলফনামা করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কারারক্ষী পদে একজনের নামে আরেকজন চাকরি করার অভিযোগের রিটের প্রাথমিক শুনানির পর আজ বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। কারারক্ষী পদে রিট আবেদনকারীর যোগদানপত্র গ্রহণে এবং আবেদনকারীর (কারারক্ষী) পদে চাকরি করা অন্য জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছেল রুলে। স্বরাষ্ট্র সচিব, কারা মহাপরিদর্শক, কারা উপমহাপরিদর্শক, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার ও কারারক্ষী হিসাবে চাকরি করা জহিরুল ইসলামকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। তিনি একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন -দুদকেরও আইনজীবী। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আবুল  কালাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। আইন কর্মকর্তা বাশার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রিটকারী তার চাকরি ফেরত চেয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন করেছিলেন। দুই মাসের মধ্যে সে আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ‘চাকরি ফিরে পেতে চান কুলাউড়ার জহিরুল/ জালিয়াতি করে কারারক্ষী পদে চাকরি ১৮ বছর পর তদন্তে প্রমাণিত!’ শিরোনামে গত জুলাইয়ে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে রিট আবেদন করেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন কুলাউড়ার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনও হয়। কিন্তু পরে আর যোগদানপত্র না পাওয়ায় চাকরির আশা ছেড়ে শহরে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। গত বছর ৮ ডিসেম্বর সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক কার্যালয় থেকে জহিরুল ইসলাম এশুর ঠিকানা-পরিচয় যাচাইয়ের জন্য কুলাউড়া পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম খাঁন খছরুর কাছে চিঠি আসে। তখনই তিনি বুঝতে পারেন অন্য কেউ তার নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে চাকরি করছেন।  এদিকে এ জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক কামাল হোসেন। তাঁর সঙ্গে কমিটিতে ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার এজি মাহমুদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপার ইকবাল হোসেন। তদন্ত কমিটির প্রধানের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কারা কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে কারারক্ষী পদে চাকরি করা জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।   গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানিতে আরো একাধিক সংবাদ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এ রকম একটি প্রতিবেদনে দুইশজনের বিরুদ্ধে নিয়াগ জালিয়াতির কথা বলা হয়। এই দুইশজনের মধ্যে ৮৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। এই ৮৮ জনের মধ্যে ৩ জন প্রকৃত ব্যক্তির পরিবর্তে চাকরি করছেন।   রিট আবেদনকারী জহিরুল ইসলাম চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি চাকরিতে যোগদানের বিষয়ে সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক বরাবর আবেদন দেন। এতে ফল না পেয়ে রিটটি করেন তিনি।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম