ইলিশে সরগরম কলাপাড়ার মহিপুর-আলীপুর মৎস্যবন্দর
নিজস্ব প্রতিনিধি
২৬ জুলাই, ২০২২, 9:37 PM
নিজস্ব প্রতিনিধি
২৬ জুলাই, ২০২২, 9:37 PM
ইলিশে সরগরম কলাপাড়ার মহিপুর-আলীপুর মৎস্যবন্দর
৬৫ দিনের অবরোধ শেষে সমুদ্রে জেলেদের জালে কাঙ্খিত ইলিশ ধরা দেয়ায় সরগরম হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর-আলীপুর মৎস্যবন্দর। এতে হাসি ফুটেছে জেলে, ট্রলার মালিক ও আড়ৎদারদের মুখে। ইলিশ মৌসুম জুড়ে এমন আশানুরুপ ইলিশ ও ভাল দাম পেলে দাদনের বোঝা লাঘব করতে পারবেন তারা, এমনটাই বলছেন জেলে সহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে ইলিশ সংরক্ষনের জন্য পর্যাপ্ত বরফ উৎপাদনে সরকারের কাছে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবী করেছেন জেলে, ট্রলার মালিক সহ আড়ৎদাররা। সরেজমিনে দেখা যায়, মৎস্যবন্দর মহিপুর-আলীপুর ঘাটে নোঙর করে আছে মাছ ভর্তি ২০ থেকে ২৫ টি ট্রলার। এসব ট্রলার থেকে শ্রমিকরা মাছ উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আড়তে।
উম্মুক্ত দরদামে পাইকারদের কাছে এসব মাছ বিক্রি হচ্ছে সাথে সাথেই। দেশের নানা প্রান্তের ব্যাপক ক্রেতা উপস্থিত থাকায় বাজার দরও রয়েছে ভাল। আজ মঙ্গলবার (২৬জুলাই) মহিপুর মৎস্যবন্দরে কেজি সাইজের ইলিশের মন বিক্রী হচ্ছে ২৮ হাজার টাকা দরে। ৫০০-৭০০ গ্রামের প্রতি মন ইলিশ বিক্রী হয়েছে ২৫ হাজার টাকা দরে। এছাড়া ৫০০ গ্রামের নীচের প্রতিমন ইলিশ বিক্রী হয়েছে ১৮ হাজার টাকা দরে। অবরোধের পর গত দু’দিনে প্রায় কোটি টাকার ইলশিসহ নানা সামুদ্রিক মাছ ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে এ বন্দর থেকে। এতে জেলে-আড়ৎদার সহ বন্দরের শ্রমিকদের মুখে দীর্ঘদিন হাসি দেখা গেছে। মহিপুর মৎস্যবন্দরের আড়ৎদার মো: মনিরুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরে চট্রগ্রামের কুদ্দুস মিয়ার মালিকানাধীন এফবি হাসান ট্রলারের মন্নান মাঝির ট্রলার বন্দরে ৭০ মন ইলিশ ১৪ লক্ষ টাকায় বিক্রী করেছেন। এতে ট্রলার মালিক খুশী হয়ে তাকে উপহার দিয়েছেন। মনিরুল ইসলাম আরও জানান, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে জেলেরা মাছ শিকারে না যাওয়ায়, সাগরে জাল ফেললেই মিলছে মাছ। কিন্তু সমস্যা হল বরফ নিয়ে। লোড শেডিংয়ের কারনে বরফকল গুলো পর্যাপ্ত বরফ উৎপাদন করতে পারছেনা। এফবি হাসান ট্রলারের মন্নান মাঝি বলেন, ’গত শনি ও রবিবার দু’দিন সমুদ্রে জাল ফেলে তার ট্রলার সত্তুর মন মাছ পেয়েছেন। যা আকারেও বেশ ভাল ছিল।’ মহিপুর বন্দর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, এখন প্রতিদিনই মৎস্যবন্দরে বাড়বে ট্রলারের সংখ্যা, বাড়বে ইলিশ। ইলিশ সংরক্ষনের জন্য বরফ উৎপাদন সচল রাখতে সরকারের কাছে বিদ্যুৎ সরবারহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার দাবী করেন তিনি। কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আপু সাহা বলেন, সরকার আরোপিত নিষেধাজ্ঞার সুফল এবং ইলিশ প্রাপ্তির জন্য অনুকূল আবহাওয়া থাকায় জেলেদের জালে অধিক পরিমানে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ ধরা পড়ছে। এই ধারা পুরো মৌসুম জুড়ে বহাল থাকবে বলে আশা করছেন তিনি।