ঢাকা ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ভোলায় ৩ লাখ পিস ইয়াবা ধ্বংস কর‌লো কোস্টগার্ড বৈঠকে সন্তুষ্ট নন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি পুলিশ হত্যা মামলায় আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন পহেলা মে থেকে সারা দেশে ডিম-মুরগির খামার বন্ধ ঘোষণা বিএনপির ভূমিকা জনগণের কাছে প্রশংসিত: আলী রীয়াজ ডেসটিনির রফিকুলের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করল বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি আদালতে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে স্বামী দাবি মেঘনার নির্বাচনের আগে তিন শর্ত পূরণ হতে হবে: জামায়াত আমির আশুলিয়ায় যাত্রীবাহী লেগুনা ড্রেনে পরে ২জন নিহত মডেল মেঘনা আলম প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার

ইতালিতে সড়কে প্রাণ হারালেন ফরিদপুরের সেলিম

#

১০ অক্টোবর, ২০২৪,  11:23 AM

news image

এক বছর আগে সংসারের হাল ধরতে ভূমধ্যসাগর পথে ইতালি পাড়ি জমিয়েছিলেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বড়খারদিয়া গ্রামের সেলিম শেখ (৩২)। গত রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে পরিবার তার মৃত্যুর খবর জানতে পেয়েছে।

ইতালি থেকে সেলিম শেখের প্রতিবেশী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত খবর পরিবারকে জানান। কিন্তু কোথায় কীভাবে আছে লাশ তা জানেন না স্বজনেরা। লাশ ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে সেলিমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ‘সেলিম আমার প্রতিবেশী। তিনি ইতালিতে থাকতেন। গত সোমবার (৬ অক্টোবর) ইতালির একটি শহরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। তার মুত্যুর খবরে পরিবারের সদস্যরা শোকে পাথর হয়ে আছে। দুদিন ধরে সেলিমের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতালিতে থাকা প্রবাসী ভাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’

নিহত সেলিম শেখ ওই গ্রামের সেখেন শেখের বড় ছেলে। মা-বাবাসহ তার স্ত্রী ও দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে। সেলিমের এমন মৃত্যুর খবরে দুদিন ধরে লাশ ফিরে পাওয়ার প্রহর গুনছেন স্বজনেরা।

নিহতের স্বজনেরা জানান, তিন ভাই, এক বোনের মধ্যে সবার বড় সেলিম। তার স্ত্রী ও দুটি শিশু ছেলেসন্তান রয়েছে। যে কারণে সংসারের দায়িত্ব ছিল তার বেশি। তিনি স্থানীয় ময়েনদিয়া বাজারে একটি মুদিদোকান করতেন। তবে দোকান করে পোষাতে পারছিলেন না। তাই স্ত্রী-সন্তানদের ভালো রাখতে ও উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যাওয়ার পরিকল্পনা নেন তিনি। কিন্তু সরাসরি ইতালি যাওয়ার মতো অর্থ ছিল না তার।

তারা আরও জানান, এক বছর আগে দালালদের মাধ্যমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথে লিবিয়া হয়ে ইতালিতে যান তিনি। সেখানে গিয়ে অন্তত পাঁচ মাস শরণার্থী ক্যাম্পে আটকে ছিলেন। পরে দীর্ঘ কয়েক মাস চেষ্টার পর অনুমতি পেয়ে সেখানে কাজ শুরু করেন তিনি।

সেলিমের বাবা সেকেন শেখ বলেন, ‘আমার ছেলে ইতালিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে, এটাই শুধু জানি। এখন তার লাশ কোথায় আছে, তাও জানি না। আমার সন্তানের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের সহযোগিতা চাই।’

তিনি আরও বলেন, ৬ অক্টোবর রাতে তাদের বাড়িতে ফোন আসে। ছেলের এলাকার এক প্রতিবেশী ফোন করে সড়ক দুর্ঘটনায় ছেলের নিহতের খবর জানান।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিচুর রহমান বালী জানান, সেলিমের লাশ দেশের ফিরিয়ে আনার জন্য যদি তার পরিবার প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন, তাহলে সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাবেন বলে আমি মনে করি।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম