ঢাকা ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
সংসদ থেকে হারিয়ে গেছে ৯০ লাখ টাকা প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তের নির্দেশ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী মামলায় নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়: ডিএমপি কমিশনার সাবেক মন্ত্রী ফরহাদ ৫ দিনের রিমান্ডে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে দেশ ছাড়লেন শান্তরা মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও সুবিধা ভোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: দুর্যোগ উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারকে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ নেই: বিজিএমইএ

'প্রক্সি' দিয়ে দশম স্থান, ভর্তি হতে এসে ধরা

#

০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  11:08 AM

news image



জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি হতে এসে প্রক্সি জালিয়াতির ঘটনায় এক পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে ভর্তি হতে এসে আটক হন শিক্ষার্থী মিনহাজুল।  বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। তার পরিবর্তে সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে প্রক্সি দেয় ভর্তি জালিয়াতি চক্রের এক সদস্য। আটককৃত শিক্ষার্থী মিনহাজুল আবেদীন আল-আমীনের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায়। মিনহাজুল ফুলবাড়িয়ার আল-হেরা একাডেমি থেকে এসএসসি ও ময়মনসিংহ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। মিনহাজুল বলেন, ‘বি’ ইউনিটে তার পরিবর্তন অন্যজন ভর্তি পরীক্ষা দেয়।

মেধাক্রমে তার সিরিয়াল আসে ১০। তার পরিবর্তে কে পরীক্ষা দিয়েছে এবং কত টাকার বিনিময়ে প্রক্সি দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে জানেন না মিনহাজুল। তবে ভর্তি পরীক্ষার সাক্ষাৎকার সে নিজে দিয়েছে বলে জানান মিনহাজুল। নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহিন মুঠোফোনে মিনহাজুলের বাবা আব্দুল লতিফের সাথে কথা বললে তিন লাখ টাকায় প্রক্সির বিষয়ে চুক্তি হয় বলে জানান তিনি। আব্দুল লতিফ বলেন, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া কলেজে পড়ুয়া মিনহাজুলের মামা শাহিনুর প্রক্সির ব্যবস্থা করেন। এ বাবদ তার মাধ্যমে তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। এবিষয়ে আইন অনুষদের ডিন তাপস কুমার দাস বলেন, “আজ মিনহাজুল ভর্তি হতে আসলে ওএমআর’র সাথে তার হাতের লেখার গড়মিল পাওয়া যায়। তাকে তিনবার সুযোগ দেয়া হলেও গড়মিল পরিলক্ষিত হয়। পরে তাকে নিরাপত্তা শাখায় পাঠানো হয়।” প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, “ডিন অফিসে আটক করার পর মিনহাজুলকে নিরাপত্তা শাখায় নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সে ও তার বাবা ভর্তি জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন। এছাড়া তার মোবাইল ফোনে জালিয়াতির আলামতও পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপে তাদের সাথে তার একাধিকবার কথা হয়।” পরে তাকে আশুলিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম