ঢাকা ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
কলারোয়ায় মাছ চুরি করতে নিষেধ করায় যুবককে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিল প্রতিপক্ষরা চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় বউ-শাশুড়িসহ নিহত ৩ নেপালে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে ফের বিক্ষোভ ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে: ফরিদা আখতার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী বাবা-মায়ের কবরেই শায়িত হলেন ফরিদা পারভীন ফরিদপুরে উপজেলা অফিস-থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন পুলিশের বড় পদে রদবদল ঢামেকে জন্ম নেওয়া ৬ নবজাতকের চার জনের মৃত্যু বিজিবির জরুরি বার্তা জামায়াতে ইসলামীর ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

৭ বছরের শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ মার্চ, ২০২৫,  1:51 PM

news image

প্রায় ১১ বছর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন আবদুল্লাহপুর এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় আরশাদ (২২) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমানের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। আদায়কৃত জরিমানা আসামির স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে ভিকটিম ও তার পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে। এদিন রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় এবং রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবারও তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।  মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় আসামি আরশাদ ভুক্তভোগী শিশুকে পাশ্ববর্তী দোকান থেকে সিগারেট ও শ্যাম্পু আনতে বলে। কথামতো ভিকটিম সিগারেট ও শ্যাম্পু আনলে আসামি তাকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন আব্দুল্লাহপুরের করেরগাঁও মোবারকের বাড়ির পাশে ফাঁকা ঘরে নিয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ভিকটিম বাড়িতে গিয়ে তার মাকে এই ঘটনা জানায়। পরবর্তীতে ভিকটিমকে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার তিনদিন পর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিশুর বাবা। মামলাটি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার উপপরিদর্শক মো. হামিদুল ইসলাম একই বছরের ১৬ নভেম্বর শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম