৬ দাবি নিয়ে ঢাকার পথে কুয়েট শিক্ষার্থীরা
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 12:37 PM

NL24 News
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 12:37 PM

৬ দাবি নিয়ে ঢাকার পথে কুয়েট শিক্ষার্থীরা
এবার ঢাকার পথে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পদত্যাগ ও নতুন নিয়োগসহ ৬ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে শিক্ষার্থীদের দু'টি বাস রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় চোখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ জানিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন শিক্ষার্থীরা। এই দাবি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে নিরাপদে অবস্থা নিয়ে ভার্চুয়ালি এ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানান। এ সময় তারা অভিযোগ করেন, ছয় দফা দাবির একটিও বাস্তবায়ন হয়নি। তারা অতিসত্বর এই দাবি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরতে চান। যাত্রা শুরুর আগে প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমরা আমাদের দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে যাচ্ছি। এরপর আমরা নিরাপদ স্থানে চলে যাবো। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্যাম্পাসে ফিরবো না। আমাদের কার্যক্রম অনলাইনে চলবে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের ফরম বিতরণকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। যা পরবর্তীতে দফায় দফায় সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ বিষয়ে ছাত্রদল ছাত্রশিবিরের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে ছাত্রশিবির ছাত্রদলের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে। শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবির মধ্যে ৫টি দাবি ১৯ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় মেনে নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সভায় ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ভিসি পদত্যাগ না করায় আন্দোলন থেকে সরে আসেনি শিক্ষার্থীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে উপাচার্যের বাসভবনেও তালা ঝুলিয়ে দেয়। প্রায় সব দাবি মেনে নেওয়ার পরও শিক্ষার্থীদের এমন আন্দোলন এবং প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।