ঢাকা ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
সংসদ থেকে হারিয়ে গেছে ৯০ লাখ টাকা প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তের নির্দেশ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী মামলায় নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়: ডিএমপি কমিশনার সাবেক মন্ত্রী ফরহাদ ৫ দিনের রিমান্ডে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে দেশ ছাড়লেন শান্তরা মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও সুবিধা ভোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: দুর্যোগ উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারকে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ নেই: বিজিএমইএ

৬৫ বছর পর ফুটল মোহনীয় রুপের শ্বেত পদ্মফুল

#

০৮ জুন, ২০২২,  2:14 PM

news image

শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়ার দীর্ঘ ৬৫ বছর পর ঝিনাইদহের শৈলকুপার হাবিবপুর পদ্মবিলের বুক ফের ছেয়ে গেছে পদ্মপাতার সতেজ সবুজে। গ্রীষ্মের খরতাপ উপেক্ষা করে সেই সবুজের পরতে পরতে জেগে উঠেছে শ্বেতপদ্মের দল। মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্য দেখে রীতিমতো আবেগাপ্লুত হাবিবপুরের মানুষ। দলে দলে তারা আসছেন অনিন্দ্য সুন্দর এই দৃশ্য উপভোগ করতে। নতুন প্রজন্মকে দেখাতে এসেছেন পদ্মবিলের সেই পদ্মবিলাস স্থানীয়রা জানান, বহু আগে গ্রামাঞ্চলে পদ্মপাতায় বড় বড় মেজবান খাওয়ানো হতো। বর্তমানে প্রকৃতির এই অপূর্ব দর্শন বিলুপ্ত প্রায়। হাবিবপুরের এই পদ্মবিলের বর্তমান মালিক কবিরপুর গ্রামের সুজন মন্ডল। দীর্ঘ ৬৫ বছর পর হাবিবপুর পদ্মবিলের বুক ফের ছেয়ে গেছে পদ্মপাতার সতেজ সবুজে। তিনি জানান, এর আগে বাপদাদাদের কাছেই কেবল শুনেছেন হাবিবপুর পদ্মবিলের কথা।

আজ থেকে প্রায় ৬৫ বছর আগের সে সময় এ বিলের কয়েকশ বিঘা জমি শুধুই পদ্মপাতায় ছেয়ে থাকত। সময়ের সঙ্গে তা হারিয়ে যায়। গত আট বছর আগে এ বিলের কয়েক বিঘা জমিতে তিনি একটি মাছের ঘের খনন করেন। তখন মাটির নিচ থেকে পদ্মের শিকড় বা শালুক জাতীয় কিছু উঠতে দেখেছিলেন। সেখানে পানি জমা শুরুর পর ধীরে ধীরে পানির নিচ থেকে ভেসে উঠতে শুরু করে পদ্মপাতা। বর্তমানে ঘেরের পুরোটাই ছেয়ে গেছে সেই পাতা আর বড় বড় সাদা পদ্মফুলে। বিলুপ্তপ্রায় জলজ এ উদ্ভিদটি স্থানীয় প্রশাসন সংরক্ষণ করতে চাইলে তার কোনো আপত্তি নেই বলে জানান। দীর্ঘ ৬৫ বছর পর পদ্মবিলের বুক ফের ছেয়ে গেছে পদ্মপাতার সতেজ সবুজে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে পদ্ম খুবই পবিত্র একটি ফুল। কারণ এতে বিরাজ করেন ভাগ্যের দেবী লক্ষ্মী। পদ্মবিলের এই দৃশ্য দেখতে গিয়েছিলেন শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা। তিনি জানান, হাবিবপুর বিলের পদ্মফুল দেখে মুগ্ধ তিনি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টও দিয়েছেন। প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা বিবেচনায় তিনি বিলটি সংরক্ষণে এর মালিকের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান। পদ্মবিল সংরক্ষণে ইউএনওর এই ইচ্ছার কথা প্রতিফলিত হয়েছে স্থানীয়দের মাঝেও। তারা বলছেন, কালের বিবর্তনে প্রকৃতির বুক থেকে হারিয়ে গেছে এমন অনেক কিছুই। পদ্মবিলটি যদি সংরক্ষণ করা যায় তবে সেটি যেমন পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, তেমনি নতুন প্রজন্ম প্রকৃতির এক মোহনীয় সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ পাবে।


logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম