২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ জুন, ২০২৩, 3:58 PM

নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ জুন, ২০২৩, 3:58 PM
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন শুরু
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের ৫২তম প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন শুরু করেন তিনি। এর আগে দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়। আকারের দিক থেকে চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেট ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বড়। চলতি অর্থবছর (২০২২-২৩) এ বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা নতুন অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়াবে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকায়। বরাবরের মতো এবারও উত্থাপিত হতে যাচ্ছে ঘাটতি বাজেট। নতুন অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছর ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়েছে, এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা ও জিডিপি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখা। সেই লক্ষ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের মতো ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ। তবে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ১ শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৫ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থবছর শেষ হয়ে এলেও রাজস্ব আদায়ে এখনও প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি রয়ে গেছে। রাজস্ব আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া এনবিআর-বহির্ভূত অন্যান্য উৎস থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।আগামী বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। চলতি অর্থবছর থেকে শুরু করে বিগত দুই অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা হলেও এবার তা বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হচ্ছে। এ ছাড়া নারীদের করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ ও তৃতীয় লিঙ্গের করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন বাজেট ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ও বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ধার্য হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। গত বছর এ পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা ও ৯৫ হাজার কোটি টাকা।