হলের টাকা জোগাড় করতে না পারায় কুয়েট ছাত্রের আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ এপ্রিল, ২০২২, 12:56 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ এপ্রিল, ২০২২, 12:56 PM
হলের টাকা জোগাড় করতে না পারায় কুয়েট ছাত্রের আত্মহত্যা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তু রায় (২১) আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার দুপুরে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। অন্তু রায় গুটুদিয়া গ্রামের দেবব্রত রায়ের ছেলে। পুলিশ ও অন্তুর সহপাঠীরা জানান, নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায় অভাব অনটনে ছিলেন অন্তু। দুই বছরে হলের খাবারের প্রায় ১৮ হাজার টাকা বাকি পড়েছিলো। রবিবার বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে টাকা দিতে বলেন অন্তু। দিনমজুর বাবা ৩ হাজার টাকা জোগাড় করেন। সকালে টাকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাওয়ার কথা ছিলো তার। কিন্তু দুপুরে তার এক আত্মীয় বাড়িতে গিয়ে দেখেন ঘরের আড়ার সঙ্গে ধুতি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন অন্তু।
একই বিভাগের ছাত্র ও কুয়েট থিয়েটারের সভাপতি হাসিব আহমেদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অন্তুর পরিবারের আর্থিক সমস্যা ছিলো। রশিদ হলে তার প্রায় ১৮ হাজার টাকার ডাইনিং বিল বকেয়া পড়েছিলো। এই নিয়ে অন্তু মনে অনেক কষ্ট পেত। ডিপাটমেন্টের সবাই তাকে বুঝিয়েছে। সবাই মিলে তার টাকাও ম্যানেজ করে ফেলেছিলো।’ ডুমুরিয়া থানার ওসি ওবায়দুর রহমান বলেন, সকালে অন্তুর বাবা-মা অন্যের ক্ষেতে কাজ করতে গিয়েছিল। ১০টার দিকে তার বোনও স্কুলে যায়। পরিবারের কাছ থেকে লেখাপড়ার টাকা নিয়ে তারও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু দুপুরে বাড়িতে গিয়ে তার এক চাচা তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। ওসি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি অন্তু রায়ের পরিবার খুবই দরিদ্র। সে মা-বাবার কাছে পড়ালেখার খরচের জন্য কিছু টাকা চেয়েছিল। টাকা জোগাড় করতে না পেরে হয়তো সে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছে।’ ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের চাচা বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ময়নাতদন্ত শেষে অন্তু রায়ে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।