সীমান্ত হত্যার ১৯ মাসেও মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ
নিজস্ব প্রতিনিধি
২১ জানুয়ারি, ২০২২, 9:21 AM
নিজস্ব প্রতিনিধি
২১ জানুয়ারি, ২০২২, 9:21 AM
সীমান্ত হত্যার ১৯ মাসেও মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ
সীমান্তে হত্যার ১৯ মাসেও মরদেহ ফেরত পায়নি স্বজনরা। আরেক হত্যাকাণ্ডের ১২ দিন পার হলেও মরদেহ নিয়ে গেছে বিএসএফ। নওগাঁর সীমান্ত এলাকায় হত্যার পর মরদেহ ফেরত না দেয়ার এমন রীতিতে চিন্তিত স্থানীয়রা। বিমলা রানী ফেরত চান সন্তান আর শিশু শংকরী চায় তার বাবাকে। ২০২০ সালের জুনে পোরসা এলাকায় সীমান্ত লাগোয়া জমিতে হাল চাষ করতে যান শুভাস চন্দ্র। সেখানেই হত্যার পর শুভাসের মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ। যদিও বিজিবি তখন দাবি করেছিল সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে গুলিতে নিহত হন তিনি। হত্যার ১৯ মাস পার হলেও মরদেহ ফেরত পায়নি পারিবার।
চলতি মাসের শুরুতে পাশ্ববর্তী সাপাহার সীমান্তে বেড়াতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন কৃষ্ণসুধা গ্রামের সালাউদ্দিন। তার মরদেহও ফেরত দেয়নি ভারতের সীমান্ত রক্ষীরা। দু'দেশের কয়েকদফা বৈঠকের পর সীমান্ত হত্যা কিছুটা বন্ধ ছিল। কিন্তু এরমাঝেও থেমে নেই হত্যাকাণ্ড। স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্ত ঘেঁষা জমিতে চাষাবাদ করতে গিয়ে পড়তে হয় বিএসএফের রোষানলে। তথ্য মিলেছে, চার বছরে নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত হয়েছেন সাতজন। এছাড়াও আটক হয়েছে ১৬জন। যদিও বিজিবির দাবি, ঘটনার পর পরিবার থেকে আড়াল করা হয় সবকিছু। তবে পাসপোর্ট ছাড়া প্রয়োজনের তাগিদে সীমান্ত পারাপারে আলাদা কার্ডের ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিজিবির মহাপরিচালক মোহাম্মদ শাফিনুল ইসলাম জানান, যারা অসৎ উদ্দেশ্যে রাতের বেলায় সীমান্তে যায়, তারাই বেশি আক্রান্ত হয়। আমাদেরকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া সীমান্ত চলাচলে ৩ থেকে ৫ দিনের জন্য সাময়িক কার্ড ইস্যুর বিষয় বিবেচনায় রয়েছে।-সূত্র: চ্যানেল২৪অনলাইন