ঢাকা ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের তরুণদের কর্মসংস্থানে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক সেনা কর্মকর্তা রেদোয়ানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ হাদির কবর জিয়ারত করবেন তারেক রহমান শরিকদের আরও ৭ আসন ছেড়ে দিল বিএনপি তারেক রহমান দেশে ফিরে আগে মায়ের সঙ্গে দেখা করবেন : সালাহউদ্দিন ওসমান হাদির ঘটনায় হাইকমিশনারকে যে বার্তা দিল ভারত ওসমান হাদিকে ‘গিনিপিগ’ বললেন বিএনপি নেত্রী, সমালোচনার ঝড় মেট্রোরেল সেবায় ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ আরও বাড়ল কুড়াল হাতে সেই যুবকসহ গ্রেপ্তার আরও ১০ জন তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: ভোলার থেকে ঢাকা যাবেন প্রায় পঞ্চাশ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী

সিইসি আবারও প্রমাণ করলেন তিনি সরকারের আজ্ঞাবহ: রিজভী

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ আগস্ট, ২০২২,  1:59 PM

news image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএম দেওয়ার ঘোষণায় নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) যে শেখ হাসিনা সরকারের আজ্ঞাবহ তা আবারও প্রমাণ করেছেন। বুধবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। চা শ্রমিকদের দাবি করা দৈনিক ৩শ টাকা মজুরি, আবাসন, খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ মৌলিক অধিকারের দাবিতে আন্দোলন ও কর্মবিরতির প্রতি সংহতি জানিয়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী আহমেদ বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার কেন বিদেশিদের কাছে সহযোগিতা চাচ্ছেন। সেটা আবারও গতকাল প্রমাণ করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশন। প্রথমেই আমরা বলেছি এই সরকার যেখানে যাকে নিয়োগ করবে তাদের পরিচয় যাইহোক, তাদের অন্তর ছাত্রলীগ, যুবলীগ। যুবলীগ, ছাত্রলীগের অন্তর থাকার কারণে গণভবন থেকে যে নির্দেশনা আসবে তার বাইরে তারা যাবে না। আমরা বলেছি এই নির্বাচন কমিশন শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ।

সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা এই প্রধান নির্বাচন কমিশনের নেই। সেটা তিনি নিজেই আবার প্রমাণ করলেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিনি যে সংলাপ করেছিলেন সেখানে অধিকাংশ দল ইভিএমের বিপক্ষে কথা বলেছিল। কিন্তু গতকাল তিনি বললেন ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে। তাহলে কিসের জন্য এই সংলাপ? চা শ্রমিকদের দৈনিক ৩শ টাকা মজুরি দাবির প্রতি সংহতি জানান রিজভী।  পাশাপাশি শ্রমিকদের দৈনিক ৩শ টাকা মজুরির দাবি বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান। রিজভী বলেন, শ্রমিকদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের গুরুদায়িত্ব আছে। কিন্তু সরকারের এখানে কোনো গুরুদায়িত্ব দেখতে পাচ্ছি না। এই মুহূর্তে ১২০ টাকা একজন শ্রমিক মজুরি পায়। অন্য সবকিছু বাদ দিলেও খাদ্যের যে দাম তাতে এই টাকা দিয়ে কি পেটভরে খাওয়ার সুযোগ আছে। আগে বলতো গরিব মানুষ ভর্তা-ভাজি দিয়ে ভাত খায়। এখন ভর্তা-ভাজির দাম অনেক। ভর্তা করতে মরিচ লাগে, তার দাম আকাশ ছুঁই ছুঁই করছে। এখন বলতে হবে কোনো রকম লবণ দিয়ে ভাত খাওয়া। কিন্তু সেই ভাত কেনারও সমর্থ নেই। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আয়নাঘরের কথা শুনেছেন না? আয়না ঘর এখন ভূতের ঘর, আতঙ্কের ঘর হিসেবে সারা দেশের মানুষের মুখে মুখে। আমরা যারা বিরোধী দলের রাজনীতি করি, সরকারের  অন্যায়, অবিচার, গুম, খুনের সমালোচনা করি  তারা আতঙ্কে থাকি। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে তাদেরকে ধরে নিয়েই অত্যাচার করা হয়। নির্যাতন করা হয়, নির্যাতনের মাত্রা বীভৎস। এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে আয়না ঘর হওয়ার কথা ছিল না। এই ঘরে তো বিরোধী দলীয় নেতাদের নিয়ে অত্যাচার করার কথা ছিল না। শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু প্রমুখ।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম