ঢাকা ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
শাহবাগে বেসরকারি ট্রেইনি চিকিৎসকদের বিক্ষোভ চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করল সেই পাকিস্তানি জাহাজ গাজীপুরে বোতাম তৈরির কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ নিয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল: তাজুল ইসলাম সাদপন্থী নেতা মুয়াজ বিন নূরের ৩ দিনের রিমান্ড শিক্ষক নিয়োগের অনিয়মে পঙ্গু হয়ে গেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো: শিক্ষা উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক এনআইডির তথ্য বেহাত, কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে ইসির সম্পর্ক ছিন্ন তিন ব্যাংকে আনিসুল হকের জমা ২১ কোটি টাকা রোহিঙ্গা ইস্যুতে পারিপার্শ্বিক ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক ভূমিকা রাখবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ: না মানলে জেল-জরিমানা

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ জানুয়ারি, ২০২২,  10:55 AM

news image

দেশে ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (সামাজিক সংক্রমণ) শুরু হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ শতাংশ করোনা রোগীই ওমিক্রনে আক্রান্ত। রাজধানী ঢাকা ও পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্হ্য অধিদপ্তর। এদিকে ওমিক্রন ঠেকাতে বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করা হবে।

১১ বিধিনিষেধের মধ্যে উন্মুক্ত স্হানে রাজনৈতিক ও সামাজিক সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল, মাস্কবিহীন চলাচলকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান এবং বিধিনিষেধ কার্যকর করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা। বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকেরা বলেন, এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের ওপরই নির্ভর করবে দেশের সংক্রমণ পরিস্হিতি। বিধিনিষেধ মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। তবে না মানলে পরিস্হিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে। ওমিক্রন বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রস্ত্ততি জানিয়ে স্বাস্হ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ২০ হাজার শয্যা তৈরি রেখেছিল। আরো ২০ হাজার শয্যা প্রস্ত্তত করা হচ্ছে। যদি ৪০ হাজার রোগী হয়, তাহলে রাখা যাবে। কিন্তু যদি ১ লাখ হয়, তাহলে কোথায় থাকবে? এখন মৃত্যুর হার কম আছে, কারণ হলো টিকা নেওয়া আছে। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা যদি তিন-চারগুণ হয়ে যায়, তাহলে বেকায়দায় পড়তে হবে। এখনই সতর্ক না হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়বে। সে ক্ষেত্রে হাসপাতালে জায়গা দিতে সমস্যা হবে। আমরা ধরে নিই, ৫ শতাংশের হাসপাতালে আসতে হয়। এরই মধ্যে হাসপাতালে রোগী আসা শুরু হয়ে গেছে। আমরা দেখব, আগামী পাঁচ-সাত দিনের মধ্যেই অনেক রোগী হয়ে যাবে হাসপাতালে। তখন আবার একটা কষ্টকর অবস্হা তৈরি হবে। হাসপাতালে প্রেশার পড়বে, চিকিত্সক-নার্সদের ওপর প্রেসার পড়বে। সিট পেতে সমস্যা হবে, মৃত্যুর হার বেড়ে যাবে।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিত্সক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, “করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালন করতে হবে। এটা বাস্তবায়নের ওপরই দেশে সংক্রমণ পরিস্হিতি কোন দিকে যাবে, সেটা নির্ভর করছে। বিধিনিষেধ না মানলে চিকিত্সাসেবা প্রদান কঠিন হবে, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা যাবে না।” তিনি বলেন, “স্বাস্হ্যবিধি মানানোর বিষয়টি শুধু সরকারের একার দায়িত্ব নয়। প্রশাসন, স্হানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষকে এক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।” সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় সারা দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ- এই তিন ভাগে ভাগ করেছে স্বাস্হ্য অধিদপ্তর। লাল রংকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ, হলুদকে মধ্যম এবং সবুজকে কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। 

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম