ঢাকা ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সাতক্ষীরায় শিশু সন্তানকে পুড়িয়ে মারার পর মাকে পিটিয়ে হত্যা নবীনগরে সুফিয়াবাদ ফাজিল মাদ্রাসায় পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ঢাকা সফরে রাজি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আমরা এখন বেশি শক্তিশালী: ড. ইউনূস কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই : ডিএমপি কমিশনার ৪০৮ আরোহী নিয়ে ভারতে জরুরি অবতরণ করল বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট সুন্দর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছি: মিম সাফজয়ী নারী ফুটবল দলসহ ১৮ ব্যক্তিকে একুশে পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যে ইসলামবিদ্বেষী ঘৃণার রেকর্ডসংখ্যক অভিযোগ মা হচ্ছেন অভিনেত্রী স্বাগতা

সাতক্ষীরায় শিশু সন্তানকে পুড়িয়ে মারার পর মাকে পিটিয়ে হত্যা

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,  10:29 PM

news image

সাতক্ষীরায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী নিজের দুগ্ধপোষ্য শিশু সন্তানকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার পর নিজের বয়স্ক মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নুনগোলা গ্রামে ওই নারীর বাবা খোদাবক্সের বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক ওই নারীকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে। এছাড়া মরদেহ দুটো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া নেয়া হয়েছে। মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর নাম শান্তা পারভীন (৩০)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী গ্রামের আজহারুল ইসলামের স্ত্রী ও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের নুনগোলা গ্রামের মৃত খোদা বক্সের মেয়ে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া শিশুর নাম আশরাফী খাতুন। তার বয়স ২ মাস ৪ দিন। আর শান্তার মায়ের না হোসনেয়ারা বেগম (৬৫)। নুনগোলা গ্রামের অধিবাসী আব্দুর রহমান জানান, ‘সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী গ্রামের আজহারুল ইসলামের সাথে ৫/৬ বছর আগে তার বিয়ে হয়। আগে শান্তা স্বাভাবিক মস্তিস্কের থাকলেও সম্প্রতি মাঝে মাঝে সে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ত। এসব কারণে স্বামী আজহারুল বুধবার তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে আসে। বৃহস্পতিবার স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে তিনি বাড়িতে চলে যান’। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া সদর থানার এসআই শিবলুর রহমান জানান, ‘বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে শান্তা তার দুগ্ধপোষ্য শিশু আশরাফিকে জ্বলন্ত চুলার মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে শান্তার মা হোসনেয়ারা খাতুন শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসেন। এসময় শান্তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সজোরে মায়ের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলাই মারা যান হোসনেয়ারা খাতুন। এরই মধ্যে চুলার আগুনে পুড়ে মারা যায় শিশু আশরাফি। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনা করে স্থানীয়রা শান্তাকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়’। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক জানান, ‘পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন, শান্তা বছর খানেক মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল’। তিনি আরও জানান, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করেছে এবং শান্তাকে থানায় আনা হয়েছে’।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম