ঢাকা ১৩ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
অতিরিক্ত সচিব আরিফুজ্জামানসহ ৩ জনকে ওএসডি মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা: গ্রেপ্তার টিটন ৫ দিনের রিমান্ডে এদেশে চাঁদাবাজদের কোন ঠাঁই হবে না সাতক্ষীরায় এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম রাজসাক্ষী হওয়ায় ক্ষমা পেয়ে গেছেন সাবেক আইজিপি মামুন বিএনপিতে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজের স্থান হবে না: দুলু ভাঙারি দোকান দখল নিয়েই ব্যবসায়ীকে হত্যা: পুলিশ দিল্লিতে ভবন ধস, দুইজনের মৃত্যু হত্যার ২ দিন পর ভিডিও সামনে এনে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা: যুবদল সভাপতি সায়মা ওয়াজেদের ছুটি জবাবদিহিতার পথে প্রথম পদক্ষেপ: প্রেস সচিব গলাচিপায় নলুয়াবাগী খাল দখল, জলাবদ্ধতায় কৃষকের সর্বনাশ: সুইস গেটের আশ্বাস

সহপাঠী ও প্রক্টরের বিরুদ্ধে লোমহর্ষক বর্ণনা অবন্তিকার মায়ের

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ মার্চ, ২০২৪,  11:36 AM

news image

সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানের যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন এবং সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের গালিগালাজ থেকে রক্ষা পেতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হোস্টেল ছেড়ে মেসে ওঠেন অবন্তিকা। এরপর তার সঙ্গে আম্মান আরও বেশি কুরুচিমূলক আচরণ শুরু করলে গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাসায় ফেরত যান। তবুও আম্মান-দ্বীন ইসলামের অমানুষিকতায় শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেন জবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকা ফাইরুজ। শনিবার (১৬ মার্চ) কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় করা মামলার এজাহারে এমনটিই দাবি করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম। এতে জবির সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে অবন্তিকার মা উল্লেখ করেছেন, ‘ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা (২৪) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিল। আমার মেয়ে মেধা তালিকা অনুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে সিট পায়। অবন্তিকা আমাকে জানায় যে, তাঁর ক্লাসমেট রায়হান সিদ্দিক আম্মান বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন দেয় ও বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জানানোর পরও তিনি আম্মানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এজন্য আমার মেয়ে হোস্টেলে থাকাটা নিরাপদ মনে না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ছাত্রীদের মেসে থাকা শুরু করে।’

‘কিন্তু তাতেও অভিযুক্ত দুজন ক্ষান্ত হননি। তারা অবন্তিকার কয়েকজন ক্লাসমেটের মাধ্যমে তাঁর চলা ফেরার প্রতি নজর রাখতে শুরু করে। তাদের মাধ্যমেও আমার মেয়েকে বিভিন্ন মাধ্যমে মানসিক নিপীড়ন দিতে থাকে। এরই মধ্যে গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লার বাসায় চলে আসে। অন্যমনস্ক অবন্তিকা আমাকে জানায়, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে উঠেছিল সে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। অর্থাৎ বিবাদী রায়হান সিদ্দিক আম্মান আগের চেয়ে আরও বেশি পরিমাণে আমার মেয়ের সঙ্গে যৌন হয়রানিমূলক কুরুচিপূর্ণ আচরণ করছে।’

তাহমিনা বেগম দাবি করেন, ‘সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে ৬ থেকে ৭ বার অফিসে ডেকে অপদস্থ করেন। মেয়ে কুমিল্লা চলে আসলেও তাকে খারাপ মেয়ে হিসেবে প্রচার করবে, যেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এসব কারণে আমার মেয়ে কুমিল্লা নগরীর বাঁগিচাগাও বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।’

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, নিহত অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেছেন।মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম