ঢাকা ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের দেশত্যাগে মানা চাঁদপুরে জাহাজ থেকে ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার শীতে বাত ব্যথা ও হাড়জোড়া রোগরে সমাধান এবার স্ত্রীকেও ‘হারাচ্ছেন’ বাশার আল-আসাদ দ্রুত নির্বাচন না হলে ষড়যন্ত্র বাড়বে: রিজভী বিভিন্ন দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাবি শিক্ষার্থীরা সাদা পোশাকে সেঞ্চুরি করে ইতিহাসের পাতায় জ্যোতি বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ীই শেখ হাসিনাকে ফেরানো যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন

সব মৃত্যুই দুঃখজনক, আমরা লজ্জিত : হাইকোর্ট

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ জুলাই, ২০২৪,  12:03 PM

news image

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এতো সহিংসতা ও মৃত্যু খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনরতদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিটে হাইকোর্ট এ কথা বলেন।  এক  শুনানিতে হাইকোর্ট মন্তব্য করে বলেন, আমরা কেউ সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছি না। এমন কিছু করব না, যাতে জাতির ক্ষতি হয়। মানুষ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ সবই গুরুত্বপূর্ণ। সোমবার (২৯ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চে একটি রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি এ রিট দায়ের করেন।  রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। ওই রিটে কোটা সংস্কার আন্দোলনরতদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। একইসঙ্গে রিটে কোটা আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়। একইদিন দুপুরে সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে খাইয়ে সেই ছবি প্রকাশ করাকে জাতির সঙ্গে মশকরা বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলেন। অবিলম্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির ব্যাপারে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। রিটের শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত এ মন্তব্য করেন। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী আদালতকে বলেন, আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তা দিতে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। টিভিতে দেখানো হয়েছে, তাদেরকে লাঞ্চ করানো হচ্ছে। তারা ডিবি কার্যালয়ে কাঁটা চামচ দিয়ে খাচ্ছেন- এই ছবি প্রকাশ হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, ‘জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না। ধরে নিয়ে এসে খাওয়ার টেবিলে বসাতে পারেন না।’  রোববার (২৮ জুলাই) ওই সমন্বয়কদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে নাস্তা করার কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ক্যাপশনে হারুন লেখেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সঙ্গে কথা বললাম।’তিনি আরও লেখেন, ‘কী কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে! ওদের কথা শুনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের নানা পরিকল্পনার কথা জানানোর পর তাদের উদ্বেগ দূর হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টিম ডিবি ডিএমপি বদ্ধপরিকর।’ উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) নিরাপত্তার কথা বলে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরে শনিবার (২৭ জুলাই) সারজিস, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম