ঢাকা ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সদরপুর থানা থেকে আসামি ছিনতাই উচ্চ মাত্রার রাসায়নিক, যুক্তরাজ্য থেকে কোকা-কোলা প্রত্যাহার বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে চলবে ১৪ বিশেষ ট্রেন সাবেক এমপি মিজানের ৮ বছরের কারাদণ্ড মেয়েদের ফুটবল ম্যাচ পরিচালনায় বাধা, নিন্দা জানাল সরকার বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগ একুশে বইমেলা শুরু ১ ফেব্রুয়ারি, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা গরিব মানুষ সবচেয়ে বেশি বরিশালে, কম চট্টগ্রামে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হঠাৎ বন্ধ কম্বাইন্ড হারভেস্টারে ভর্তুকি, চালের দাম বাড়ার শঙ্কা

সদরপুর থানা থেকে আসামি ছিনতাই

#

৩০ জানুয়ারি, ২০২৫,  5:09 PM

news image

নিজস্ব প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর আসামি ছিনতাইয়ের সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ২৯ জানুয়ারী রাতে আটককৃত আসামির নাম ফারুক হোসেন বাকু। ফারুক হোসেন বাকু ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান ওরফে নিকসন চৌধুরীর ডান হাত বলে পরিচিত।  সে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আমলে জবরদখল, চুরি, ছিনতাই, মাদক কারবারের সাথে জড়িত ছিলো। বিভিন্ন মহল থেকে চাদাঁবাজী, টেন্ডারবাজী ছিলো তার নিত্যদিনের কাজ। ফারুক হোসেন বাকু আটরশি এলাকার সাড়ে সাতরশি গ্রামের মৃত মানিক মল্লিকের ছেলে। সদরপুর থানা পুলিশ জানায়, ফারুক হোসেন বাকু পাশ্ববর্তী ভাঙ্গা থানার দুর্বৃত্তকারী লোকজন নিয়ে সদরপুর থানার বিভিন্ন গ্রামে নিজের শক্তি জাহির করার জন্য প্রতিনিয়ত এলাকায় মহড়া দিয়ে আসছিলো।

এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন এসআই মো: রাছেল শেখ।  বাকুকে আটকের পর থেকেই  তাকে মুক্ত করতে সদরপুর উপজেলার স্থানীয় বিএনপির নেতা মো: বাহালুল মাতুব্বরের নেতৃত্বে একটি অংশ থানায় ছুটে আসেন। রাত সাড়ে ৭টার দিকে কাকতালীয়ভাবে আটককৃত বাকু অসুস্থতার কথা জানালে স্থানীয় বিএনপির নেতা বাহালুল মাদবর তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ওই সময় থানার এসআই হাদীউজ্জামান ও কনষ্টেবল দিয়ে বাকুকে চিকিৎসার জন্য রাত ৮টার দিকে সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: মাইদুল হাসান শাওন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।

হাসপাতালের  রেজিষ্ট্রেশনে সিরিয়ালে দেখা যায় ৩১৯/১৪। হাসপাতাল থেকে বের হলেই বাকুর লোকজন পুলিশের হাত থেকে তাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে এসআই হাদীউজ্জামান বলেন, আমি ও একজন কনষ্টেবল ছিলাম। বাকুর প্রায় বিশ পচিশ জন লোক ছিলো। আমার নিকট থেকে তারা তাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোতালেব হোসেন জানান, পুলিশের নিকট থেকে আটকৃত ফারুক হোসেন বাকুকে যারা ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। তাকে আটক করতে থানা পুলিশের অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক বাহালুল মাতুব্বর জানান, বাকুর ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। আমি তাকে ছাড়াতে কেনো আসবো। সে আমাকে আগে থেকেই গালাগালি করে আসছে। একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলেও দাবি করেন  বাহালুল মাতুব্বর।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম